মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(১৯ নভেম্বর) :: উখিয়া সীমান্তের আঞ্জুমানপাড়া শূন্য রেখায় তিনদিন ধরে অবস্থান করার পর অবশেষে সাত শতাধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু বিজিবি ও এনজিও সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় রবিবার সকাল ১০টার দিকে বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গা মংডু সদর এলাকার মাঙ্গালা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের শূন্য রেখায় তল্লাশি চালানোর সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
সরেজমিন বালুখালী ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, এক কাপড়ে ধেয়ে আসা অভুক্ত এসব রোহিঙ্গার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশ্রয়ের দেখা মেলেনি। ফলে তাদেরকে সড়কের পার্শ্বে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিতে হয়েছে। ছফুরা খাতুন নামে এক রোহিঙ্গা জানায়, তার স্বামী নুর হোসেন মংডু বাজারের একজন পান সিগারেটের দোকানি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের মতো বাড়ি যাওয়ার সময় উগ্রপন্থি রাখাইন যুবকরা তার টাকাকড়ি ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। একমাত্র শিশু রশিদা বেগমকে নিয়ে তিনদিন অনাহারে অর্ধাহারে আঞ্জুমানপাড়া বেড়িবাঁধে থাকার পর এখানে এসেছেন।
মাঙ্গালা পাড়া গ্রামের সমাজ সর্দার হিসেবে পরিচিত আলী আজগর (৪৩) জানান, প্রায় হাজারের অধিক পরিবারের বসবাস মাঙ্গালা পাড়া গ্রামে। মানুষ এতদিন নিঃসন্দেহে বসবাস করতে পেরেছে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের আশ্বাসের উপর ভর করে।
সম্প্রতি জাতিসংঘে মিয়ানমারের জাতিগত নিধনের বলি রোহিঙ্গাদের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটিতে বেশিরভাগ ভোট মিয়ানমার সেনা নির্যাতনের বিপক্ষে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাঙ্গালা পাড়া গ্রামের অতর্কিতভাবে হামলা চালায় সেনা বিজিপি ও উগ্রপন্থি রাখাইন যুবকেরা।
নিঃস্ব অবস্থায় যে যেদিকে পারে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পালিয়েছে। তাদের প্রায় সাত শতাধিক রোহিঙ্গার একটি দলকে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে তিনদিন আঞ্জুমানপাড়া শূন্য রেখায় খোলা আকাশের নিচে থাকতে হয়েছে।
Posted ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta