মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া :: বিশ্বব্যাপি করোনার প্রভাবে লকডাউন পরবর্তি ১৮ মাস পর রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা খুলেছে। স্কুলে ফিরতে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। কচিকাঁচার ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে অভিভাবকরাও আসছেন। তবে স্কুলের প্রবেশদ্বরে মহাসড়ক হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
এদিকে উখিয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছেন, একসাথে অনেকগুলো ছেলে মেয়েদের জটলা বেঁধে যাওয়া স্বাস্থ্য সম্মত নয়। এভাবে জটলা থাকলে করোনা সংক্রমণ আবারও বেড়ে যেতে পারে। উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এহসান উল্লাহ সিকদার বলেন, স্কুলের সামনে অভিভাবকদের জটলা করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
তাই অভিভাবকদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণে স্বাস্থ্য বিধিকে মান্য করতে হবে। সংক্রমণের এই নিম্নমুখিতায় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। একে অপরকে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যেন কোন অবস্থাতেই সংক্রমণের আগের চেহারায় ফিরে না আসতে পারে।
উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিভাবকদের জটলা দেখে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি ও স্কুলে আসা যাওয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিভাবকরা বলেন, উখিয়া সদর স্টেশনে কোন ট্রইফককে চোখে পড়েনা। এখানে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া বেপরোয়া গতিতে ডাম্পার, টমটম ও ইজিবাইক চালকদের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
অনেকদিন পর স্কুল খোলা হয়েছে। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হয়। ছোট মানুষ একা পাঠাবো কী করে? তাই আমরা অভিভাবকরা সন্তানদের শ্রেণিকক্ষে দিয়ে এখানে স্কুলের সামনে অপেক্ষা করছি।
কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায় রাস্তা পার হয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে হয়। দ্রতগামী যানবাহনের সংখ্যাও এখন বাড়তি।নিজেদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য দাঁড়িয়েও থাকতে হয়। কোন প্রকার গতিরোধক সাংকেতিক চিহ্ন নেই। তাই দ্রুত সময়ে স্পীড ব্রেকার বা গতিরোধক স্থাপনের জন্য দাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
Posted ২:২৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta