কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৪ মে) :: পবিত্র ৩০টি রোজাকে বিদায় দিয়েছেন কক্সবাজারবাসী। ইবাদাত-বন্দেগি আর সংযমে কাটিয়েছেন সিয়াম সাধনার পুরো একটি মাস। রাত পোহালেই আনন্দের ঈদ, ঈদুল ফিতর। তবে এবারের ঈদটি জেলাবাসীকে ভাসাবে না আনন্দের ঢেউয়ে। একরকম নিরানন্দই এবারে প্রথম ঈদ কাটাবেন কক্সবাজারের মানুষ।
মুসলিম উম্মাহের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের দিনটি অশেষ তাৎপর্য ও মহিমায় অনন্য। তবে পরম আনন্দ ও খুশির এই ঈদ এবার এসেছে ভিন্ন এক বাস্তবতা নিয়ে। সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশের মানুষও এখন কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াল থাবায় দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমনে আনন্দ করার চেয়ে মানুষের বরং একটাই প্রত্যাশা- দ্রুত দূর হোক প্রাণঘাতি করোনা, দূর হোক কঠিন এই সংকটময় পরিস্থিতি।
কক্সবাজার জেলায় রবিবার (২৪ মে) পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত মোট ৩৯৫ জন। এ সংখ্যা ঈদের দিনও স্থির না থাকার আশঙ্কাই বেশি। গত ৫মে থেকে কক্সবাজারে গড়ে প্রায় ২০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন এ ভাইরাসে। মারা যাচ্ছেন প্রতি ১৩ দিনে ১ একজন করে। এই অবস্থায় কক্সবাজারবাসীর মাঝে আনন্দ-উৎসব করে ঈদ উপদযাপনের আমেজটা অনুপস্থিতই থাকবে। আর যাদের পরিবারের সদস্য আক্রান্ত কিংবা যাদের নিকটজন মারা গেছেন করোনায়, তাদের ঈদ তো হবে রীতিমতো বিষাদময়।
এবারের ঈদে মুখরিত হবে না কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় থাকবে না আর জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে। ঈদের নতুন জামা-কাপড় পরে বেড়ানো হবে না আত্মীয়-স্বজনদের বাসায়। হৈ-হুল্লোড়ে বাড়ি কিংবা পাড়া মাথায় তুলবে না শিশু-কিশোরের দল। বিবর্ণ আর নিরানন্দ এক ঈদ উদযাপন করবেন এবার কক্সবাজারবাসী।
এদিকে গত ২০ মে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি ও জামাত বিষয়ক এক সভায় জানানো হয় জেলায় এবছর জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো নির্দেশাবলি অনুসরণ করে ঈদ জামাত আদায় করতে হবে। একইসাথে নিম্নোক্ত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. খোলা ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজন করা যাবে না। মসজিদের অভ্যন্তরে আয়োজন করতে হবে।
২. মসজিদে ১ ঘন্টা পর পর একাধিক জামাত হবে।
৩. প্রতি জামাতে পৃথক পৃথক ইমাম এবং মুয়াজ্জিন থাকবেন।
৪. প্রত্যেক জামাতের পর মসজিদ স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৫. ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে হবে৷
৬. মসজিদে কোন কার্পেট বিছানো যাবে না। মুসল্লীগণ ব্যক্তিগত জায়নামাজ ব্যবহার করতে পারবেন।
Posted ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৫ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta