কক্সবাংলা রিপোর্ট :: কক্সবাজার-উখিয়া-টেকনাফসহ জেলাব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান জিরো টলারেন্স নিয়ে চলমান সত্ত্বেও মাদক পাচার বাড়ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। মাদকপাচার কি পরিমাণ বেড়েছে তা কক্সবাজারের মাদক অধ্যূষিত শহর টেকনাফ ও উখিয়ায় গত চব্বিশ ঘণ্টার মাদক বিরোধী অভিযানের ফলাফলই তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ৭২ ঘণ্টার অভিযানে খোদ টেকনাফ ও উখিয়াতেই বিজিবি ও কোস্টগার্ডের অভিযানে ৯০ কোটি টাকার আইস বা ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্ধ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী এলাকায় চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইসের চালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এটি দেশের সবচেয়ে বড় আইসের চালান বলে জানায় বিজিবি। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারী টেকনাফ থেকে ২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ) উদ্ধার হয়।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. মেহেদি হোসাইন কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়- কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ক্রিস্টাল মেথ আইস নিয়ে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
এর ভিত্তিতে অধিনায়কের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ চৌকস আভিযানিক টহলদল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউপি’র পালংখালী বাজার হতে আনুমানিক ১০০ গজ দক্ষিণে পাকা ব্রিজের নিচে অবস্থান নেয়।
রাত ৭টার দিকে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পায়ে হেঁটে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র মাদক কারবারিরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। বিজিবিও পাল্টা গুলি করে।
এসময় চোরাকারবারিরা তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ মাটিতে ফেলে দ্রুত পাহাড়ের গহীন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।
অতঃপর টহলদল ঘটনাস্থল হতে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশি করে পাঁচ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) জব্দ করতে সক্ষম হয়। জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইসের আনুমানিক মূল্য পঁচিশ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত গত ১৮ জানুয়ারী রাত ১২টায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার নাফ নদী দিয়ে পাচারকালে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ) ও দেড় কোটি টাকার ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি।একই দিন ১৮ জানুযারি দুপুর সাড়ে ১২টায় টেকনাফ এর সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ সংলগ্ন সমূদ্র এলকায় মাদক কারবারীদের সাথে কোস্ট গার্ডের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকার ১২ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ১টি বিদেশী অত্যাধুনিক অটোমেটিক সাব মেশিনগান ও ৩০ রাউন্ড গোলাসহ দুটি ম্যাগাজিন জব্দ করে কোস্ট গার্ড। ১৮ জানুয়ারি রাত সোয় ১২টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন সমূদ্র এলাকা থেকে আরও প্রায় ৩৫ হাজার ইয়াবা জব্ধ করে কোস্ট গার্ড।এর একদিন পর ১৯ জানুয়ারি রাত ৯টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নস্থ আলীখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৪০হাজার পিস ইয়াবা বড়িসহ দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫। একই রাত ১৯ জানুয়ারি উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউপি’র দক্ষিণ বালুখালী থেকে আড়াই কোটি টাকার ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে ৩৪ বিজিবি।
সূত্রে জানা যায়,সীমান্তে বিভিন্ন সময়ে আইস বা ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবার চালান ধরা পড়লেও কারা এই মাদকের ব্যবসা আড়ালে থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এই মাদকের প্রথম চালান ধরা পড়ে ২০১৯ সালে। আবার গত তিন বছরে আইসের যেসব চালান ধরা পড়েছে, তাতে শুধু বাহককে আসামি করেই মামলা হয়েছে। এসব মামলার তদন্তেও ঘটনার আড়ালের তথ্য উঠে আসেনি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে আইসের ২২টি চালান ধরা পড়ে। এসব চালানে ৩০ কেজির বেশি আইস জব্দ করা হয়। তবে চালান ধরা পড়লেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আইসের বাহক ছাড়া অন্যদের বিষয়ে তথ্য বের করা যায়নি।এমনকি বাহকের কাছে যিনি আইস পৌঁছে দিয়েছিলেন,তাঁকেও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বেশির ভাগ ঘটনায়।এভাবে টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্তের সাগর ও নৌপথে ভয়ংকর মাদক আইস ও ইয়াবার জোয়ার ঠেকানো যাচ্ছে না। মিয়ানমার থেকে সরাসরি এই মাদকের চালান আসছে। মাছ ধরার ট্রলারসহ নৌযানে লুকিয়ে পাচারকারি চক্র আইস ও ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে। শক্তিশালী সিন্ডিকেটের হাত হয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানী ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশে। মাঝে মধ্যে দুই-একটি চালান ধরা পড়লেও বেশিরভাগ চালান নিরাপদ গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। দেশের সর্বত্রই মিলছে নেশার রাজা ইয়াবা বড়ি। মাদকের নীল ছোবলে ধ্বংসের পথে যুবসমাজ।
সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে ইয়াবা আসক্তের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এ কারণে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার মতো মাদক পাচার কোনমতেই থামানো যাচ্ছে না। প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন চোরাইপথে ৩০ লক্ষাধিক পিস ইয়াবা দেশে ঢুকে বলে বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে। সে হিসেবে শুধু ইয়াবা বাবদই প্রতিবছর অন্তত মিয়ানমারে ৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে থাকে। দেশে জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশ মাদকাসক্ত হওয়ায় তাদের ঘিরে সংঘবদ্ধ চক্র নানারকম বাণিজ্য ধান্ধায় মেতে উঠেছে। মাদক সরবরাহ, ভেজাল মাদক তৈরি, পুলিশের ধরা ছাড়া বাণিজ্য, মাদক বিরোধী সামাজিক কর্মকান্ড চালানোসহ নানা নামে, নানা কৌশলে, নানা ধরনের চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা একাধিক কর্মকর্তা জানান , চাহিদার কারণে আইস এবং ইয়াবার সরবরাহ বাড়ছে। ঢাকায় আইস-ইয়াবার অনেক বেশি গ্রাহক হয়ে গেছে। এ কারণে এসব মাদকের চালান আসা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে আইস বা ক্রিস্টাল মেথ খুবই ভয়ংকর মাদক বলে উল্লেখ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এই মাদক দেখতে স্বচ্ছ কাচের (ক্রিস্টাল) মতো। এই মাদক সেবনে নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিভ্রম, মস্তিষ্কবিকৃতিসহ নানা শারীরিক-মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে এই মাদক সেবনে ওজন হারানো, কিডনি ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, বিষণ্নতা এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মতো গুরুতর শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। আইস ইয়াবা তৈরির মূল উপাদান। ১ গ্রাম আইসের দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, মাদক উদ্ধারের গতানুগতিক ধারাতেই আইস উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আইসসহ যাঁকে পাওয়া যাচ্ছে, তাঁকেই আসামি করা হচ্ছে। কিন্তু মূল চক্রে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে সেটি হলো, দেশে আইস ছড়িয়ে দিতে দুবাইকেন্দ্রিক একাধিক চক্র সক্রিয়। তারা অবৈধভাবে মিয়ানমারে টাকা পাঠিয়ে আইস কেনে। পরে তা কক্সবাজারের টেকনাফ,উখিয়া ও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে দেশে নিয়ে আসে। ওই চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন,বাংলাদেশকে টার্গেট করে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য কারখানা। এসব কারখানায় তৈরি ইয়াবার চালান ঠেলে দেয়া হচ্ছে এদেশে। শক্তিশালী মাদক পাচারকারি সিন্ডিকেটের হাত হয়ে এসব নেশাদ্রব্য চলে যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় এখন ইয়াবা মিলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক পথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সতর্ক নজরদারির কারণে সাগর পথকে নিরাপদ মনে করছে পাচারকারিরা। তাছাড়া সাগরও এখন অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা শান্ত। আর এই সুযোগে সমুদ্রপথেই ইয়াবা পাচার বেড়ে গেছে। তবে সড়কপথের মতো সাগরপথেও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, এলিট বাহিনী র্যাব, আধা-সামরিক বাহিনী বিজিবি, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও সড়ক এবং পাহাড়িপথের পাশাপাশি সাগরপথে ইয়াবার চালান ঠেকাতে নানা কৌশল গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের একটি জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এক লাখের বেশি মানুষ নানাভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে নারী এবং শিশু-কিশোররাও জড়িত মাদক ব্যবসার সঙ্গে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে কমপক্ষে ৬৫ লাখ মানুষ সরাসরি মাদকাসক্ত। এদের মধ্যে ৮৭ ভাগ পুরুষ, ১৩ ভাগ নারী। তবে বাংলাদেশে এখন মাদকসেবীর মধ্যে ইয়াবা সেবনকারীর সংখ্যাই সর্বাধিক এবং ইয়াবাই মাদক সাম্রাজ্যের সর্বগ্রাসী হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও উদ্ধার হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে অভিযান পরিচালনা, বন্দুকযুদ্ধ, আত্মসমর্পণ করানোর ঘটনাসহ নানাভাবে চেষ্টা করেও ইয়াবা পাচার, সেবন, কারবার সবই আবার আগের মতো অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর এক কর্মকর্তা কক্সবাংলাকে বলেন, আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের রুট ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ (মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-লাওস) এবং ‘গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’ (পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান)-এর একেবারে কেন্দ্রে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে এদেশে মাদকের অনুপ্রবেশ ঘটছে অহরহ। কক্সবাজার ও বান্দরবানের দুই দিক দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত দৈর্ঘ্য ২৭১ কিলোমিটার। এই ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের সবচেয়ে সক্রিয় মাদক রুটগুলোই গোটা দেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ঢুকছে কোটি কোটি পিস ইয়াবা ও নতুন মাদক আইস।এরমধ্যে ইয়াবার অবাধ প্রবেশে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে। বেশিরভাগ ইয়াবা তৈরি হয় মিয়ানমার-চীন সীমান্তের শান এবং কাচিন প্রদেশে। মিয়ানমারের সাবাইগন, তমব্রু, মুয়াংডুর মতো ১৫টি পয়েন্ট দিয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, ধুমধুমিয়া, কক্সবাজার হাইওয়ে, উখিয়া, কাটাপাহাড়, বালুখালি, বান্দরবানের গুনদুম, নাইক্ষ্যংছড়ি, দমদমিয়া, জেলেপাড়ার মতো অর্ধশত স্পট দিয়ে ইয়াবা ঢুকছে বাংলাদেশে। এ কারণে মাদক পাচার অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে যেমন বাড়ছে মাদকপাচার ও বেচাকেনা। তেমনি মাদকসেবীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান।
ইয়াবা চোরাচালানের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান শুরু হলেও তা এখন অনেকটা থেমে গেছে।২০১৯ সাল থেকে কক্সবাজার জেলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী মারা যায়। এরপর সরকারের বিশেষ ক্ষমা ঘোষনায় ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ৩০ জনসহ ১০২ জন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার শপথ নিয়ে আত্মসমর্পন করেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে পুলিশের অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় তালিকাভূক্ত মাদক পাচারকারীরা এলাকায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। আর কাজে আসেনি টেকনাফের শতাধিক ইয়াবা কারবারির আত্মসমর্পণ। আবার অনেকেই জামিনে ছাড়া পেয়ে ফিরেছে পুরানো পেশায়। গেলো দুই বছরে মরণনেশা ইয়াবার কারবারও বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ। এর মধ্যে নতুন করে যোগ দিয়েছে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথ।
Posted ২:০৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta