কক্সবাংলা রিপোর্ট(১১ নভেম্বর) :: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ক্যারিয়ারের আগের ছয়টি সেঞ্চুরির চেয়ে ১৬১ রানের এই ইনিংসকে অন্যভাবে দেখলেন কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ও জাতীয় দলের নির্ভরজোগ্য ব্যাটস্যান মুমিনুল হক।
এই নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল হক, এরমধ্যে তিনবার পেরিয়েছেন দেড়শো রান। আগের দুবারের মতো এবারও দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়ে পৌঁছাতে পারলেন না ডাবল সেঞ্চুরিতে। ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছার তাড়না হয়ত ভেতরে ভেতরে ঠিকই আছে। কবে আসবে ডাবল সেঞ্চুরি, এমন প্রশ্নে উত্তরটা দিলেন বড় অদ্ভুত।
রোববার মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে আলো ছড়িয়েছেন মুমিনুল। আট ইনিংসে রান খরা গুছিয়েছেন দারুণ সেঞ্চুরিতে। তবে শেষ বিকেলে ঠিকই রয়ে গেছে আফসোস। ১৬১ রানেই থেমেছেন তিনি।
২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চোখে সরষে ফুল দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম দিন তারাই শেষ করল এগিয়ে থেকে। দুর্দান্ত জুটিতে স্বাগতিকদের স্বস্তিতে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত জানুয়ারিতে এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচে এলো তার সপ্তম সেঞ্চুরি। ১৫০ বলে তিন অঙ্কের ঘরে রান করেই ক্ষান্ত হননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২৪৭ বলে ১৯ বাউন্ডারিতে খেলেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শীর্ষ ইনিংস।
রবিবারের খেলা শেষে নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে মুমিনুলের ব্যাখ্যা, ‘এই সেঞ্চুরি থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। এই সেঞ্চুরি অন্যগুলোর চেয়ে খুবই আলাদা। অনেক চেষ্টা ও একাগ্রতার সঙ্গে আমাকে ব্যাট করতে হয়েছে। কারণ উইকেট ছিল বেশ কঠিন। তাই এই সেঞ্চুরি ছিল আগেরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। আমি এই সেঞ্চুরিকে আমার ক্যারিয়ারের সেরা বলতে পারি।’
চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ২৬৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে নিরাপদে রাখেন মুমিনুল। অন্য প্রান্তে মুশফিক থাকায় এমন ইনিংস খেলা সহজ হয়েছে বললেন তিনি। পুরো কৃতিত্ব উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে দিলেন মুমিনুল, ‘আমার এই ইনিংস গড়তে মুশফিক ভাই সত্যিই সহায়তা করেছে। আমাকে তিনি ভালোভাবে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমি আজ বুঝতে পারলাম কেন তাকে দেশের পাঁচ সেরা ক্রিকেটারের একজন বলা হয়। মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমি যখন ব্যাট করছিলাম, তখন তিনি আমাকে উপদেশ দিলেন এবং আমার পুরো ইনিংসে সেটা করে গেছেন। আর সেটাই আমার ব্যাটিংয়ের সহায়ক হয়েছে।’
২০১৩ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮১ রান করেন মুমিনুল। এই বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একই মাঠে করেন ১৭৬। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে এলো ১৬১ রানের ইনিংস।
ক্রিকেট খেলাটা দলীয়। মুমিনুল যাই রান করুণ দিনশেষে দলে কি অবদান রাখতে পারলেন সেটাই মুখ্য তার কাছে। দু’শো রান করাতেও দিয়ে রাখলেন তেমন অবিশ্বাস্য কোন রান তাড়ার স্বপ্ন, ‘আমার দল বাংলাদেশ কোনদিন যদি সাড়ে তিনশো, চারশো তাড়া করার জন্য যখন খেলবে, তখন হয়ত দুশো হতে পারে। কারণ খেলাটা হলো আমার দুশো, দেড়শর না। এটা হলো দলের খেলা। দলের যখন দরকার তখন আসবে।’
Posted ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta