বিশেষ প্রতিবেদক :: সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়া সিএমপির ২ কনস্টেবলের একজন রাসেল চন্দ্র দে।
দুবাই প্রবাসী ভাই সুভাষ চন্দ্রকে তিনি ফোনে জানিয়েছেন যে তিনি এখন নেদারল্যান্ডসে আছেন এবং দেশে ফিরতে চান না।
রাসেলের বোন কমলা পাল রোববার এ কথা জানান।
কমলা পাল বলেন, ‘রাসেল আমাদের বড় ভাইকে ফোন করে বলেছেন তিনি নেদারল্যান্ডসে থেকে গেছেন, আর ফিরতে চান না। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কিছুদিন আগে ফোন করে তিনি ভাইয়ের কাছে টাকা চান। কিন্তু দাদা টাকা দিতে রাজি হননি এবং তাকে দেশে ফিরতে বলেন।’
‘এক পর্যায়ে রাসেল ফোন কেটে দিয়ে নম্বর ব্লক করে দেন,’ বলেন কমলা পাল।
রাসেল ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তাদের বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পলাইন্না কাটা গ্রামে এবং বাবা একজন ব্যবসায়ী।
কক্সবাজার সিটি কলেজে পড়ার সময় রাসেল চাকরি পান এবং কক্সবাজার জেলা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি ২০২১ সালের জুন মাসে বিয়ে করেন এবং তার ৩ মাসের সন্তান আছে।
কমলা পাল বলেন, ‘রাসেল এ ঘটনার আগে তার স্ত্রীকে বলেছিল যে সে আমাদের পরিবারের জন্য কেনাকাটা করেছে। তার বউকে সে ভিডিও কলে শপিংয়ে কেনা জিনিসপত্র দেখিয়েছিল। কিন্তু তার এমন পরিকল্পনার কথা বলেননি।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর কক্সবাজার পুলিশ সুপার অফিসে আমার বাবা এবং মাকে ডাকা হয়। আমরা আসলে এই ঘটনায় বিব্রত এবং কীভাবে কী করবো বুঝতে পারছি না।’
‘আমরা জানিও না রাসেল এখন কোথায় কীভাবে আছে,’ বলেন কমলা।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে বাংলাদেশ পুলিশের আট সদস্য নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিল ডগ স্কোয়াডে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। তাদের ২৪ মে দেশে ফেরার কথা।
দলের সঙ্গে দেশে না ফেরা দুই সদস্যের মধ্যে রাসেল চন্দ্র দে কর্মরত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে। তিনি কক্সবাজারের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন জানান,শনিবার সকালে কনস্টেবল রাসেল চন্দ্র দের বাবা লক্ষ্মণ চন্দ্র দে ও মা রেবা রাণী দেকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তারা জানিয়েছেন, রাসেল তার জ্যেষ্ঠ ভাই দুবাইপ্রবাসী সুভাষকে তার দেশে না ফেরার কথা জানান। সেই থেকে রাসেলের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলেও তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।
Posted ১০:১০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ মে ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta