বিশেষ প্রতিবেদক :: কক্সবাজারের কুতুপালং,বালুখালি ও থাইনখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রধারীদের আধিপত্য কিংবা সন্ত্রাসী কার্যাকলাপের কারণে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর আশপাশে বসবাসরত স্থানীয়রাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।এদেশে আশ্রিত হওয়ার পর গত ৪ বছরেরও বেশি সময় হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কমপক্ষে ২৩২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার ভোরে। যেখানে ৬ নিরীহ মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। সরকার মনে করে ক্যাম্পের ভেতর আধিপত্যের লড়াইয়ের কারণে এমনটা ঘটছে। প্রশাসন কোনভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না। এছাড়া উখিয়া টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প দিনের বেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে প্রতিভাত হলেও রাতের বেলা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। রাতেই সশস্ত্র রোহিঙ্গা ক্যাডারদের যত অপকর্ম চলে। যে কারণে প্রতিটি শিবির বর্তমানে ভয়ঙ্কর উৎকণ্ঠা থাকছে। অধিকার আদায়ের নামে রোহিঙ্গাদের রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। মূলত বিদেশী কিছু রাষ্ট্র ও কিছু এনজিওদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব সংগঠন দিন দিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে।
ক্যাম্প সূত্রগুলো জানিয়েছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘আরসা’ আশ্রয় শিবিরে মিয়ানমারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলে তথ্য মিলছে। রোহিঙ্গাবিরোধী মিয়ানমারে যে শক্তিগুলো তৎপর মূলত তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরসা কমান্ডারের নির্দেশে ক্যাম্পে ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের হত্যা করে চলেছে।
ইতোপূর্বে প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক ও জনমত গঠনে তৎপর বালুখালী ক্যাম্পের মাস্টার আরিফ উল্লাহ, হাফেজ শফিকুল ইসলাম, মুফতী আবদুল্লাহ, আরসার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সমালোচনা করে ফতোয়া জারির কারণে তাকে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই এশার নামাজরত অবস্থায় জামতলী ক্যাম্প থেকে আরসা সন্ত্রাসীরা নিয়ে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলে। এ পর্যন্ত তার লাশও পাওয়া যায়নি। মাওলানা মোঃ হাশিম একজন প্রখ্যাত আলেম ও বর্ষীয়ান শিক্ষক। আরসার সন্ত্রাসবাদী মতবাদের সমালোচনা করায় ২০১৮ সালের ৭ মে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া থেকে তাকে অপহরণ করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মাস্টার আরিফ উল্লাহ রোহিঙ্গাদের মাঝে হাতেগোনা কয়েকজন ইয়াঙ্গুন (রেঙ্গুন) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েটদের মধ্যে একজন।
আরসার বহু বর্বরতার সাক্ষী ছিলেন এই আরিফ উল্লাহ। আরসার হয়ে কাজ না করায় ২০১৮ সালের ১৮ জুন বালুখালী থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার পথে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে আরসা সন্ত্রাসীরা। হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম একটি মামালায় আরসার পক্ষে সাক্ষী দিতে অস্বীকার করায় ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই হাফেজে কোরান শিক্ষককে ধরে নিয়ে হত্যা করে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকির ভিতর লাশ লুকিয়ে রাখে আরসা সন্ত্রাসীরা। এক সপ্তাহ পর (২ মার্চ) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করা, প্রত্যাবাসনে জনমত গঠনে প্রশাসনকে সহযোগিতাকারী ও সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আরসার আনুগত্য স্বীকার না করা বিশিষ্ট রোহিঙ্গা নেতাদের এভাবে হত্যা করে চলেছে মিয়ানমারের সৃষ্টি সন্ত্রাসী বাহিনী আরসা।সর্বশেষ ২০২১ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লকে ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের’ (এআরএসপিএইচ) কার্যালয়ে ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ (৪৮) বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর মৃত্যুর ২৩ দিনের মধ্যেই ২২ অক্টোবর ক্যাম্পের ভেতর একটি মাদ্রাসায় আক্রমণের ঘটনায় ৬ জন মারা যায়।
এদিকে শনিবার সকাল ১০টার দিকে দেখা গেল, ক্যাম্পের রাস্তা ও অলিগলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। ক্যাম্পের প্রবেশমুখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রোহিঙ্গারা বাইরে যেতে পারছে না, বাইরের কেউ ক্যাম্পের ভেতরে যেতে পারছে না। ক্যাম্পের ভেতরে চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান। ক্যাম্পের রাস্তাগুলো ফাঁকা, দোকানপাটগুলো বন্ধ। সব মিলিয়ে থমথমে অবস্থা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয় ছয় রোহিঙ্গা। এর মধ্যে পাঁচজন ক্যাম্প-১৮-এর রাস্তায় পাশে গড়ে তোলা ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া’ মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র। মাদ্রাসাটি রোহিঙ্গাদের সংগঠন ইসলামি মাহাস পরিচালনা করে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গাদের ভাষ্য, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসালাগোয়া মসজিদে ঢুকে তাহাজ্জতের নামাজ পড়তে যাওয়া রোহিঙ্গাদের এলোপাতাড়ি গুলি ও দা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এতে ছয় রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে অন্তত ১২ রোহিঙ্গা।
হামলায় নিহত ব্যক্তিরা হলো ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া’ মাদ্রাসার শিক্ষক ও বালুখালী ২ নম্বর শিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩২); বালুখালী ৯ নম্বর শিবিরের ব্লক-২৯-এর বাসিন্দা ইব্রাহীম হোসেন (২২); বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবক আজিজুল হক (২৬), মোহাম্মদ আমিন (৩২); একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও বালুখালী-১৮ নম্বর শিবিরের নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫) এবং মাদ্রাসাশিক্ষক ও ২৪ নম্বর শিবিরের হামিদুল্লাহ (৫৫)।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও হামলাকারীদের শনাক্ত এবং তাদের আটক করতে না পারায় উদ্বিগ্ন ক্যাম্পের হাজারো রোহিঙ্গা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ক্যাম্পে মানবিক সেবায় কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর আশ্রয়শিবিরে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
হামলার ঘটনায় মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘আরাকান স্যালভেশন আর্মি’ বা আরসা (আল-ইয়াকিন নামেও পরিচিত) সরাসরি জড়িত বলে রোহিঙ্গা নেতারা দাবি করলেও পুলিশ বলছে, ক্যাম্পে আরসা কিংবা আল-ইয়াকিনের অস্তিত্ব নেই।
ক্যাম্পের পরিস্থিতি দেখতে গত শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারে যান আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া। ক্যাম্পের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলে আজ শনিবার বেলা ১১টায় আজাদ মিয়া বলেন, ছয় রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত চার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। তারা আরসার নাম ব্যবহার করে ক্যাম্পে অপকর্ম চালায়। অন্যদের ধরতে ক্যাম্পে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। ক্যাম্পের জনবল ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনায় গত শুক্রবার সকালে মুজিবুর রহমান নামের আরেক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, ছয়টি গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে ছয় রোহিঙ্গার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার মরদেহগুলো ক্যাম্পে নেওয়া হয়। রাত নয়টার দিকে থাইনখালী (ক্যাম্প-১৮) আশ্রয়শিবিরের কবরস্থানে মোহাম্মদ ইদ্রিস, ইব্রাহীম হোসেন, আজিজুল হক, মোহাম্মদ আমিন ও নুর আলম ওরফে হালিমকে এবং মাদ্রাসাছাত্র হামিদুল্লাহকে টেকনাফের লেদা আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-২৪) কবরস্থানে দাফন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোর্শেদ।
থাইনখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) আবদুল মালেক বলেন, ঘটনার পর থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত হামলাকারীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে ব্লক রেইড চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চার-পাঁচজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ধরেছে পুলিশ।রোহিঙ্গাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্যাম্পের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। দোকানপাটও বন্ধ।
আরেক রোহিঙ্গা নেতা রহিম উল্লাহ বলেন, মাদ্রাসা ও মসজিদটিতে হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল ৪০ থেকে ৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। কমবেশি প্রত্যেকের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো দা। সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছয় রোহিঙ্গা শিক্ষক-ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছে। এটি আরসার পরিকল্পিত হামলা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝি বলেন, হামলায় যারা অংশ নিয়েছিল, তাদের কেউ ক্যাম্পে নেই। হামলার পরপর তারা থাইনখালী ক্যাম্পের বিপরীতে বালুখালী, রহমতের বিল ও ফালংখালী এলাকার বাইরে (নাফ নদীর মিয়ানমার নো ম্যানস ল্যান্ডে) পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসকা , অপরাধ, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুম, মাদক পাচার, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপর্কমে জড়িত থাকার যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে। দিনের পর দিন তারা স্থানীয়দের ওপর হামলা করছে। স্থানীয়দের গুম করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। তাদের কাছে স্থানীয়রা নিরাপদ নয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্যাম্পগুলোর আশপাশে স্থানীয়দের বসবাস অযোগ্য এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির এবং যে দুষ্কৃতকারীরা ক্যাম্পে অবস্থান করছে, তারা রোহিঙ্গাদেরই অংশ।’সচিব আরও বলেন, ‘ক্যাম্পের ভেতর এক গ্রুপের ওপর আরেক গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের যে প্রতিযোগিতা এবং নানান ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটছে, তাতেই বিভিন্ন ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্ম হচ্ছে।’
সম্প্রতি মুহিবুল্লাহর মৃত্যু অনেক সমালোচিত হয়েছে। এ ঘটনার পর সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থানও জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুহিবুল্লাহ হত্যায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এর মধ্যে আমরা দেখলাম আরেকটি ঘটনা ঘটে গেলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনই চাইবো না বাংলাদেশে কোনওে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক—সেটি রোহিঙ্গাদের মাধ্যমেই হোক বা অন্য যে কারও মাধ্যমে হোক।’পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘কক্সবাজারের ডিসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ন্যাশনাল টাস্কফোর্সের চেয়ার হিসেবে বলেছি যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য কঠোর হস্তে এগুলোকে দমন করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে এবং সেখানে স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয় আরও বৃদ্ধি করা এবং এ ধরনের ঘটনায় জিরো টলারেন্স প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।তিনি বলেন, ঘটনাগুলো ধীরে ধীরে ঘটেছে। এগুলো এক দিনে দূর হবে এমনও নয়। কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা হবে।
Posted ১:১৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta