কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৪ মে) :: কক্সবাজার জেলায় থামছে না মরণব্যাধি করোনার মুহুর্মুহু আক্রমণ। রবিবার (২৪ মে) কক্সবাজারে নতুন করে সর্বোচ্চ ৪৭ জনের শরীরে ধরা পড়েছে ভীতিকর এ ভাইরাস। এর আগে গত ২২ মে ধরা পড়েছিল ৪ রোহিঙ্গা সহ সর্বোচ্চ ৩৬ জন।এভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর ফলে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে জেলাবাসীর মাঝে।
রবিবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত করোনা ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় পরীক্ষা করা ১৮২টি নমুনার মধ্যে জেলায় ৪৭টির রিপোর্ট পজেটিভ আসে।এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরও ৪টি রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এনিয়ে জেলায় ৫৪তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়াল ২৫ রোহিঙ্গা সহ মোট ৩৯৫ জন। এর মধ্যে মাত্র শেষ ২০দিনেই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২১ জন সহ ৩৩৯ জন।
বিষয়টি কক্সবাংলাকে রবিবার বিকালে নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া।
ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবে রবিবার ১৮২ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এর মধ্যে জেলায় ৪ রোহিঙ্গা সহ নতুন ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ির ২ জন নতুন পজিটিভ অছেন। বাকি ১৯ জন ফলোআপ।পূর্বের আক্রান্ত (চকরিয়ার-১২ জন,উখিয়ার-৬ এবং ১জন রোহিঙ্গা)। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করেও তাদের শরীরে করোনা পজিটিভ আসেন।
আক্রান্তদের মধ্যে চকরিয়ার-১৮ জন,সদরের ১১ জন,উখিয়ার-৩জন,পেকুয়ার ৭ জন এবং টেকনাফের ৪জন।এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ২ জন রয়েছে। আর কক্সবাজার জেলায় ৫৪ তম দিনে এই ৪৭ জনকে নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫ রোহিঙ্গা সহ মোট ৩৯৫ জন।
জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় সবচেয়ে আক্রান্ত বেশি চকরিয়া উপজেলায়। এখানে মোট আক্রান্ত ১২৩ জন। এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে সদর উপজেলা ১১১ জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উখিয়া । এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৫ জন।এর পরে রয়েছে পেকুয়ায় ৩৯ জন,মহেশখালীতে ২৭ জন,টেকনাফে ১৫ জন,রামুতে ৮ জন,কুতুবদিয়ায় ২ জন।এছাড়া শরনার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা রয়েছে ২৫ জন।আজ ২৪মে পর্যন্ত করোনা কেড়ে নিয়েছে ৪ জনের প্রাণ। আর রামু ও চকরিয়া আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫জন।
স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট ও সচেতন ব্যক্তিদের মন্তব্য- বিধি-নিষেধ অমান্য করে এভাবে ভিড় করে কেনাকাটার জন্য মানুষের মাঝে দ্রুত করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটছে।কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন স্থানে জামাকাপড়, জুতা ও কসমেটিকসের দোকানে মহিলা-পুরুষরা ভিড় করে ঈদের কেনাকাটা করছেন। এ কারণে জেলায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
Posted ৭:১৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৪ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta