শুক্রবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় পিসিআর ল্যাবে ৩৫২টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৫৫টি নমুনার ফল আসে পজিটিভ।যার মধ্যে ৫৪টিই নতুন নমুনা। ১টি নমুনা ফলোআপ রয়েছে।আর জেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ রোহিঙ্গা সহ ৪৩ জন। বাকী ২৯৭টি নমুনা নেগেটিভ আসে।
আক্রান্তদের মধ্যে সদরের-২০ জন,চকরিয়ার-১ জন,রামুর-৭ জন,কুতুবদিয়ার-৪জন,টেকনাফের-৩জন,পেকুয়ার-২জন,উখিয়ার-৬জন এবং রোহিঙ্গা-৪জন। জেলার বাইরে বান্দরবানের ৭ জন এবং লোহাগাড়ার ৩জন,সাতকানিয়ার-১জন এবং বাশঁখালীর-১জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
এনিয়ে জেলায় ১০৭ তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়াল মোট ৩ হাজার ১৩৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৭১ জন।আর মারা গেছেন ৬ রোহিঙ্গা সহ ৪৮ জন। এছাড়া ৬২ রোহিঙ্গা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে,১৭ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনার হটস্পট সদর উপজেলায় আক্রান্ত এবং মৃত্যূ সবচেয়ে বেশি। এখানে মোট আক্রান্ত‘র সংখ্যা ১হাজার ৪৯৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬৮০ জন। এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চকরিয়া উপজেলায় ৩৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৬৫ জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উখিয়া।এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৮১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৫৫ জন।
এর পরে রয়েছে টেকনাফে পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২৭৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২২৫ জন,রামুতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৬৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৬৫ জন,পেকুয়ায় পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৩২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২৫জন,মহেশখালীতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৫৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৪০ জন এবং কুতুবদিয়ায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫০ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে,১৭ জুলাই পর্যন্ত জেলায় ২৩ হাজার ১৭০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৩৪ জন।এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১০৩২ জন এবং হাসপাতালে ভতি রয়েছেন ১৫০ জন।এছাড়া আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৫০জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৯৭১ জন।
১৭ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত করোনা কেড়ে নিয়েছে ৬ রোহিঙ্গা সহ ৪৮ জনের প্রাণ।এর মধ্যে সদরে ২৪ জন,চকরিয়ায় ৬জন,উখিয়ায়-৫ জন,টেকনাফে-৫ জন,মহেশখালীর-১জন,কুতুবদিয়ায়-২জন, রামুতে ২ জন,পেকুয়ায় ১জন এবং রোহিঙ্গা ৬জন।
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা.আবু তোহা জানিয়েছেন,এ পর্যন্ত ১২১১ জন রোহিঙ্গার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬২ জন রোহিঙ্গা করোনা পজিটিভ হয়েছেন এবং ১৩ জন সুস্থ হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬জন। আর রোহিঙ্গা আইসোলেশন ইউনিটে ৩৫ জন ভর্তি রয়েছেন।