শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কক্সবাজারে মানববন্ধনে বক্তারা : পাহাড় কাটায় জড়িত এনজিওদের আইনের আওতায় আনতে হবে

বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮
335 ভিউ
কক্সবাজারে মানববন্ধনে বক্তারা : পাহাড় কাটায় জড়িত এনজিওদের আইনের আওতায় আনতে হবে

বার্তা পরিবেশক(১১ এপ্রিল ) :: কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ের নামে ব্যাপক পাহাড় কাটা হচ্ছে। আর এইসব পাহাড় কাটায় অর্থ সরবরাহসহ নানা ভাবে সহযোগিতা করছে রোহিঙ্গাদের লালন পালনকারি বিভিন্ন দেশি বিদেশি এনজিও। পাহাড় কাটার দায়ে এসব এনজিও ও এনজিও কর্মকর্তাদের তালিকা করা হবে।

বনভূমি ধ্বংস ও বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র নিধনের জন্য সংশ্লিষ্ট এসব এনজিওদের ছাড় দেয়া যাবেনা। মামলা করে এদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাহাড় কাটা বন্ধ না করলে তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদে আশ্রয়ের নামে যে ভয়াবহ পাহাড় কাটা হচ্ছে তা বন্ধের দাবিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের ১১ এপ্রিল সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হয়। এতে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম. এ আনোয়ারুল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের পাহাড় কেটে আশ্রয় দেয়া এটা বড় ভুল সিদ্ধান্ত। এতে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদ্প্তর, পরিবেশবাদী সংস্থা ও পরিবেশদিদের সম্পৃক্ত করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় স্থল নির্ধারন করা প্রয়োজন ছিল। সমন্বয় না করে ইচ্ছে মতো পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের বসতি আগামিতে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের উপদেষ্টা রাজনৈতিক নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, এমনিতেই রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয়রা নানাভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এবার পাহাড় কেটে উখিয়া-টেকনাফকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। হাজার হাজার একর বনভূমি বিলীন তারাই করতে পারে যারা বাংলাদেশের মঙ্গল চাইনা। রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর নামে এদেশের ক্ষতি করতে চাই। এটার প্রমাণ হচ্ছে অনিন্দ্য সুন্দর কক্সবাজারের বনাঞ্চল থেকে মরুভূমিতে পরিণত করার অপতৎপরতা।

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন বলেন, উখিয়া উপজেলার টিলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নতুন করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের জন্য ভয়াবহ পাহাড় কাটা হচ্ছে। প্রতিদিন অর্ধশত স্ক্রেভেটর দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে পাহাড় কাটায়। লাখো গাছ করা হয়েছে কর্তন। তিনি পাহাড় কাটা বন্ধে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কক্সবাজার নাগরিক সমাজের নেতা ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল বলেন, বন ও পরিবেশ রক্ষায় শুধু স্থানীয়রা নয় দেশের সকল সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। উখিয়া-টেকনাফে যেভাবে পাহাড় কেটে যে অত্যাচার করা হচ্ছে, তা দেখে মনে হয় এসব বনভূমিতে সরকারের কোন মালিকানা নেই।

স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, সুউচ্চ পাহাড় কেটে ৩ থেকে ৫ স্তরে তৈরি করা হচ্ছে প্লট। উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ের প্রায় ৮ হাজার একর বনাঞ্চল ইমিধ্যে মরুভুমিতে পরিণত হয়েছে। যা পরিবেশ ও বন মন্ত্রী, সচিবসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা দেখেছেন। তারা দেখে সিস্মিত হয়েছেন। কিন্তু পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দেননি।

সেভ দ্য ন্যাচারের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখন নতুন করে পুরো পাহাড় মরুভূমিতে পরিণত করার মিশনে নেমেছে রোহিঙ্গাদের লালন পালনকারি বিভিন্ন এনজিও। আগে টিলায় যেসব রোহিঙ্গারা ছিল তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ের নামে উচু পাহাড়ে নেয়া হচ্ছে। তাও পাহাড় কেটে তাদের আশ্রয় দেয়া হবে। এতে পাহাড়ের আশ্রয়ের জন্য যাদের নেয়া হবে তাদের জীবন ঝুঁকি বেড়ে গেছে অন্যদিকে ইনানী এলাকার পাহাড়সহ পুরো বনভুমি বিরানভুমিতে পরিনত হবে। এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের পাহাড়ে স্থানানন্তর না করে সমভূমি বা অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া প্রয়োজন।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পাহাড় কেটে নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার যে উদ্যোগ এটা নাটকিয়তা। সবাই জানে পাহাড় কেটে বসতি কখনো নিরাপদ হতে পারেনা। নিরাপদ বসতির অজুহাত দেখিয়ে বনভূমিতে সম্প্রাসরণ করা হচ্ছে। এতে বন্য হাতিসহ বন্যপ্রাণীরা জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব রোহিঙ্গা বান্ধব এনজিওদের পাহাড় কাটার উদ্যোগের কারনে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে রোহিঙ্গাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে তেমনি বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র পড়েছে হুমকির মুখে।

সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদের পরিচালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজনীতিক কামাল উদ্দিন রহমান পেয়ারো, এস্তাক আহমদ, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজমল হুদা, সহ সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ জুনাইদ, ডা: চন্দন কান্তি দাশ, রায়হান উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, রাজিব দেবদাশ, বিজয় কুমার ধর, মো: শহীদুল্লাহ, পিন্টু দত্ত, জুয়েল দত্ত, মিজানুর রহমান, সাংবাদিক আমিনুল হক আমিন, সাইফুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সংগঠক সোহেল রানা।

335 ভিউ

Posted ৪:৩৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com