সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কয়েক বছরের জন্য পাওয়া ১৪ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা) অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। ‘
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমের জন্য এই অর্থ ব্যবহৃত হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর জন্য ডোনার হিসেবে সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিভেন করলিস বলেন, “বর্তমান সময়টি অভূতপূর্ব এবং খুবই চ্যালেঞ্জিং। রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোরালো সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের সাথে করা আমাদের জীবনরক্ষাকারী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং এই সম্পূর্ণ মানবিক কার্যক্রম সম্ভব হতো না”।
২০১৭ সালে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর আগমনের পর থেকে ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য মানবিক সংস্থা মিলে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করছে, যেন শরণার্থীদের ও তাঁদের আশে-পাশের স্থানীয় জনগণকে বিভিন্ন রকম সহায়তা দেয়া যায়। এর মাঝে আছে অতি প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, আশ্রয় তৈরি, পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি, এবং বর্ধিত আকারে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। পুরো মানবিক কার্যক্রমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্যতম সক্রিয় সহায়তা প্রদানকারী।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের প্রধান রেন্সে তিরিঙ্ক বলেন, “মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে বাংলাদেশ মহানুভবতা ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। ইউএনএইচসিআর-এর জন্য আমাদের এই ফান্ডিং সেই মহানুভবতা ও মানবিকতার প্রতি একটি অবদান। এটি বৈশ্বিকভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় টিম ইউরোপের কার্যক্রমের একটি অংশ, আর এর লক্ষ্য হচ্ছে অতিমারীর কারণে শরণার্থী সংকট যেন আরও খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করা।”
নতুন এই অনুদান বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর-এর যৌথভাবে চলমান নিবন্ধন কার্যক্রমকে সাহায্য করবে। নিবন্ধনের মাধ্যমে শরণার্থীদের সহায়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। আরও নিশ্চিত করা যায় যেন নির্দিষ্ট ও বিশেষ সেবা পাওয়ার যোগ্য মানুষেরা সুরক্ষা পায় এবং সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে মানবিক সাহায্য পায়।
এই অনুদান আরও সাহায্য করবে ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা, শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের ক্ষমতায়ন, সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, কোভিড- ১৯ মোকাবেলা কার্যক্রম ও কক্সবাজারে করোনা ভাইরাসের আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবেলা সংক্রান্ত কর্মকান্ড।
Posted ১২:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta