কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৯ এপ্রিল) :: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে রবিবার কক্সবাজারের তমব্রু নো-ম্যানস ল্যান্ডের কোনারপাড়া ও কুতুপালং সহ বিভিন্ন শরনার্থী শিবির পরিদর্শনে আসেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিদলের কাছে এব জৈষ্ঠ সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের এই বিশাল জনগোষ্ঠী যে ‘রোহিঙ্গা’ সে ব্যাপারে তাঁরা কি একমত? যাঁরা একমত তাঁরা কি হাত তুলবেন?
এসময় ১৫ জন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে ১০ জন হাত তোলেন। তবে চীনের প্রতিনিধি হাই থাউ ও এবং রাশিয়ার প্রতিনিধি ডিমেথ্রি পুলেনাক্কি সহ পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রদূত/কূটনীতিকরা হাত তোলেননি।কিন্তু রাশিয়া ক্ষানিক পরে হাত তুললেও চীনের প্রতিনিধি পড়েন বিব্রত অবস্থায় ।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের প্রতিনিধি ভিন্নমত পোষণ করেন।এ বিষয়ে রাশিয়া ইতিবাচক উত্তর দিলেও চীন এ বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রতিনিধি ডিমেথ্রি পুলেনাক্কি বলেন, ‘এটি সত্য, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। আমরা নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করছি।’ নিরাপত্তা পরিষদের সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রেজ্যুলেশনের সময় এখনও আসেনি। এটি শুধুমাত্র প্রেস স্টেটমেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কোনও ম্যাজিক সমাধান নেই। তবে অবশ্যই আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো এবং চেষ্টা করবো সবচেয়ে ভালো সমাধান খুঁজে বের করতে।’ রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, ‘আ মরা উৎসাহিত করি দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমস্যাটির সমাধান হোক এবং আমরা চেষ্টা করছি দুদেশকে বোঝানোর জন্য, যাতে করে গঠনমূলক দর কষাকষি করে।’
অার চীনের প্রতিনিধি হাই থাউ ও একই সুরে বলেন, ‘এটি একটি জটিল বিষয় এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, জাতিগত সত্তা।’ তিনি বলেন, ‘এর কোনও সহজ উত্তর নেই এবং আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এর সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে।’‘আমরা আশা করি এ সমস্যা সমাধানের জন্য সবাই গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’
Posted ১২:২০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta