কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৪ জুলাই) :: কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে গত এক ১৫দিন ধরে শনাক্তের হার একদম কমে গেছে। একই সঙ্গে কমেছে নমুনা পরীক্ষার হারও।সোমবার দুই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সদরের ২৬ জন সহ আরো ৩৪ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। আর ১৪ জুলাই পর্যন্ত সবমিলিয়ে কক্সবাজার জেলায় এখন অবধি করোনা রোগীর সংখ্যা হলো ৩ হাজার ৬৪ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৭২০ জন এবং মৃত্যূবরণ করেছে ৫ রোহিঙ্গা সহ ৪৭ জন।
মঙ্গলবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় পিসিআর ল্যাবে ৩১৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৫০টি নমুনার ফল আসে পজিটিভ।যার মধ্যে ৪৬টিই নতুন নমুনা। ৪টি নমুনা ফলোআপ রয়েছে।আর জেলার ৬ উপজেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে এক রোহিঙ্গা সহ ৩৪ জন।এছাড়া জেলার বাইরে ১২ জন পজিটিভ হয়েছেন।বাকী ২৬৫টি নমুনা নেগেটিভ আসে।
আক্রান্তদের মধ্যে সদরের-২৬ জন,উখিয়ার-২জন,চকরিয়ার-১ জন,পেকুয়ার-১ জন,রামুর-১ জন,টেকনাফের-২ জন এবং রোহিঙ্গা-১জন। জেলার বাইরে বান্দরবানের ৭ জন এবং চন্দনাইশের ৫ জন নতুন পজিটিভ অছেন।
এনিয়ে জেলায় ১০৪ তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়াল মোট ৩ হাজার ৬৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭২০ জন।আর মারা গেছেন ৫ রোহিঙ্গা সহ ৪৭ জন। এছাড়া ৫৮ রোহিঙ্গা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে,১৪ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনার হটস্পট সদর উপজেলায় আক্রান্ত এবং মৃত্যূ সবচেয়ে বেশি। এখানে মোট আক্রান্ত‘র সংখ্যা ১হাজার ৪৫৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬২০ জন। এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চকরিয়া উপজেলায় ৩৪৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৪০ জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উখিয়া।এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৭৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৩০ জন।
এর পরে রয়েছে টেকনাফে পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২৭৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২০০ জন,রামুতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৫৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৪২ জন,পেকুয়ায় পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০৫জন,মহেশখালীতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৫২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১১৫ জন এবং কুতুবদিয়ায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৫ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে,১৪ জুলাই রাত ৯টা পর্যন্ত জেলায় হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১০২২ জন এবং হাসপাতালে ভতি রয়েছেন ১৫৫ জন।এছাড়া আইসোলেশনে রয়েছেন ১১১১জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭২০ জন।
১৩ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত করোনা কেড়ে নিয়েছে ৫ রোহিঙ্গা সহ ৪৭ জনের প্রাণ।এর মধ্যে সদরে ২৪ জন,চকরিয়ায় ৬জন,উখিয়ায়-৫ জন,টেকনাফে-৫ জন,মহেশখালীর-১জন,কুতুবদিয়ায়-২জন, রামুতে ২ জন,পেকুয়ায় ১জন এবং রোহিঙ্গা ৫জন।
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা.আবু তোহা জানিয়েছেন,এ পর্যন্ত ১০২১ জন রোহিঙ্গার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জন রোহিঙ্গা করোনা পজিটিভ হয়েছেন এবং ১৩ জন সুস্থ হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫জন। আর রোহিঙ্গা আইসোলেশন ইউনিটে ১২ জন ভর্তি রয়েছেন।