মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(১০ এপ্রিল) :: কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সড়কে হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত চাঁদাবাজির ঘটনায় ব্যবসায়ীও যাত্রী সাধারণ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে চলাচলরত যাত্রিবাহী যানবাহনে, বাস- মিনিবাস, মালবাহি ট্রাক, ডাম্পার, সিএন্ডজি, টমটম, জীপ- মাইক্রোসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত মানবাধিকার কর্মীদের নোহা গাড়ীগুলো থামিয়ে নানা অজুহাতে চাঁদা আদায়ের লক্ষ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে রাখছে বালুখালীস্থ হাইওয়ে পুলিশ।
এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প মুখি ক্ষুদে মহিলা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বাহনায় আটকিয়ে রেখে মামলায় পুঁতে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে শাহপরী হাইওয়ে পুলিশের নামস্বর্বস্ব ক্যাশিয়ার কনস্টেবল আবদুল ওয়াদুদ।
মালবাহি গাড়ির চালক জনৈক গফুর জানান, (কনস্টেবল’র কথা অনুযায়ী) গাড়ীর কাগজপত্র বানাতে কে বলেছে, এই লাইনে গাড়ী চললে মাসিক টোকেন নিতে হবে, না হয় একবার ইয়াবাসহ মামলায় ঢুকিয়ে দিলে গাড়ীও যাবে জেলেও পুঁচবে।
এইভাবেই চালকও মালিকদের ভয় দেখিয়ে মাসোয়ারার বিনিময়ে বৈধতা দিয়ে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জনশ্রুতি উঠেছে।
নিয়মিত এ চাঁদাবাজির ঘটনায় স্থানীয় সাবেক গোলাম চোবহান বলেন, হাইওয়ে পুলিশের এ কর্মকান্ডে গোটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
তিনি মনে করেন, যাত্রিবাহী গাড়ী থামিয়ে মানুষের সময় নষ্ট করে এভাবে চাঁদা বানিজ্য চলতে পারেনা। এটা আইনের বরখেলাপ। এব্যাপারে উর্তনের হস্তক্ষেপ জরুরী হয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, গত কয়েক মাস পুর্বে শাহপরী হাইওয়ে পুলিশ চৌকিতে যোগদানের পর টুকেন বানিজ্যের এ নতুন প্রথা চালু করেন। প্রতিমাসে অন্তত সহশ্রাধিক যানবাহন থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ৫শত থেকে ২ হাজার টাকা আদায় করে মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ওয়াদুদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় গাড়ীর মালিক, ব্যবাসায়ীও একাধিক চালক-হেল্পার জানান, একেক মাসে একেক নামের টোকেনে ছদ্ম নাম মোরশেদ, বিজয়, নানু। এ মাসের টোকেনের ছদ্মনাম নানু।
এব্যপারে জানতে চাইলে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাজেশ বড়ুয়া টোকেন বানিজ্যের কথা অস্বীকার করে বলেন, ছোট-কাটো দুয়েকটি এরকম কিছু ঘটলেও প্রয়োজনীয় প্রমাণের অভাবে এক্সান নেয়া সম্ভব নয়।