কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৯ মে) :: বঙ্গোপসাগরে শক্তি হারাচ্ছে আমফান। সুপার সাইক্লোন থেকে আপাতত প্রচন্ড ঝড়ে পরিণত হয়েছে এটি। তবে সরাসরি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানছে না আমফান।সর্বশেষ স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়,আমফানের তুলনামূলক ঝুঁকি কম থাকায় কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এটি বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর আমফানের তাণ্ডবে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সুন্দরবন।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বলছে, উপকূল থেকে আপাতত ৬৯৫ কিমি দূরে রয়েছে এটি।প্রতি ঘন্টায় ১৪ কিমি বেগে আমফান উপকূলবর্তী এলাকার দিকে এগোচ্ছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমফান ক্রমশ উত্তর-উত্তরপূর্বে বঙ্গোপসাগরের উত্তর পশ্চিমে সরে যাবে। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে কক্সবাজারে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যে জেলার একাধিক উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রশাসনের তরফ থেকে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন জানিয়েছেন,প্রাথমিকভাবে দ্বীপ এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসা হচ্ছে। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকলের প্রতি অনুরোধ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিন। দুর্গম এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে প্রশাসনকে সহায়তা করুন।
প্রসঙ্গত,বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির কক্সবাজারের শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা সমুদ্রের কাছেই উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জমিতে বাস করছে। যদি ঘূর্ণিঝড় আম্পান মরাসরি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানত তবে ব্যাপক প্রাণহাণির সম্ভাবনা থাকত।
Posted ৪:০৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২০ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta