কক্সবাংলা রিপোর্ট :: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। দুই মাসের বেশি সময় ধরে টিকার প্রয়োগ চলছে দেশে। ইতিমধ্যে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন প্রায় ৫৭ লাখ মানুষ। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখের কিছু বেশি।
সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলাতেও অব্যাহত রয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৯১৩ জন। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ২১ হাজার ৯২৪ জন।মোট টিকা নিয়েছেন ৯৯ হাজার ৮৩৭ জন।
১৭ এপ্রিল শনিবার একদিনেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ২৪৮ জন। এছাড়া প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন আরও ১৭৬ জন।
টিকার ব্যবস্থাপনায় থাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়,চলতি মাসের ৮ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও ৭ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান শুরু হয়। গত ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যারা করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তাদেরকে শনিবার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের সদর হাসপাতাল ভেতরের দুটি টিকা কেন্দ্রে প্রতিদিনের ন্যায় শনিবারও সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।এদিন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন সর্বাধিক ১৪২৪ জন। এছাড়া চকরিয়ায় টিকা কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজ নেন ৬৪৯জন,পেকুয়ায় ১৬৫জন,উখিয়ায় ৩৫৮জন,টেকনাফে ৩৩৫ জন,রামুতে ৭৮৯ জন,কুতুবদিয়ায় ৯৭ জন এবং মহেশখালীতে ৪৩১ জন।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান,প্রথম টিকা নেয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দেশে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করায় চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। এর মধ্যেই জেলা ব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।তিনি আরও জানান,১৭ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৯১৩ জন। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ২১ হাজার ৯২৪ জন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধী পর্যাপ্ত টিকা স্বাস্থ্য বিভাগে মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Posted ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta