সংবাদ বিজ্ঞপ্তি(২৮ জানুয়ারি) :: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সরকারের উন্নয়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বহুল বিতর্কিত ‘ডেইলি স্টার’ ও ‘দৈনন্দিন’ পত্রিকা। যার ধারাবাহিকতায় পর্যটন নগরীতে যখন উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হয়েছে তখন স্থানীয় প্রতিপক্ষের সহযোগিতায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে মর্যাদাহানীকর সংবাদ প্রকাশ করেছে এই দু’টি বিতর্কিত পত্রিকা।
যখনই দেশের উন্নয়ন হয় তখনই এসব ষড়যন্ত্রকারী মাথাচড়া দিয়ে উঠে। নির্বাচন আসলে যেমন এরা আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বনে যায়, তেমনিভাবে উন্নয়ন হলেও এদের সহ্য হয়না। তাই ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সরকারী দলের শীর্ষ নেতা এবং কক্সবাজারের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন মেয়রকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা হচ্ছে। যা পৌরবাসী কখনো মেনে নিবেনা।
২৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ডেইলি স্টার ও দৈনন্দিন পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্বল কর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি ডেইলী স্টার ও ২৮ জানুয়ারি কক্সবাজারের দৈনন্দিন পত্রিকায় ‘‘নদী দখলকারী নদী সংরক্ষণ কমিটির সদস্য” শীর্ষক সংবাদ দু’টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি শুধু মিথ্যা ও বানোয়াট নয়, এটি সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা বিরোধীও বটে। এই পত্রিকাগুলো সবসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের সর্বত্রে অবগত।
সে জন্য পরিকল্পিতভাবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত কক্সবাজার পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র মুজিবুর রহমান এর রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে ডেইলী স্টারের স্থানীয় প্রতিনিধি মুহাম্মদ আলী জিন্নাতের সহযোগিতায় পত্রিকাটির চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোস্তফা ইউসুফ ও দৈনিন্দিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদটি এই দুই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এরা বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এখনো আছে। এই মিথ্যা সংবাদটি সেইসব ষড়যন্ত্রের প্রমাণ বহন করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন মহোদয়ের যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে ওই বক্তব্যে মেয়র মুজিবুর রহমান নদী দখল কিঙবা অন্যকোন অপরাধ করেছেন এমন কোন প্রমাণ তিনি পাননি বলে উল্লেখ করেন।
এছাড়া ২০১৪ সালে ৫২ জনের যে তালিকা প্রকাশের কথা বলা হয়েছে সেই তালিকায়ও মেয়রের নাম আছে এমন তথ্যও তিনি পাননি বলে উল্লেখ করেন। এরপরও একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিকে নদী দখলকারী উল্লেখ করার কোন যুক্তি আছে বলে আমাদের জানা নেই। কক্সবাজারের জনপ্রিয় একজন পৌর মেয়রকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিতর্কিত ও মর্যদাহানী করতেই এই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখিত স্থানীয় ওই দুই ব্যক্তি বিভিন্নভাবে পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের স্থানীয় প্রতিপক্ষ। এরা মেয়রকে বিতর্কিত করে রাজনৈতিক পায়দা হাসিল করতে চায় সবসময়। তারাই যে ষড়যন্ত্রের মুলহোতা এটি এই বিতর্কিত ও ষড়যন্ত্রমুলক সংবাদের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। বিগত সময়ে যারা মেয়র ছিলেন তারা ময়লা যেখানে ফেলেছেন ঠিক একই কায়দায় পৌরসভার ময়লা একই স্থানে ফেলা হচ্ছে। এই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত সংবাদে, তবে উল্লেখ করা হয়নি বিগত সময়ে যারা মেয়র ছিলেন তারাও একই স্থানে ময়লা ফেলেছিলেন। বর্তমানে বাঁকখালী নদী লাগোয়া যে স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে তা পৌরসভার নিজস্ব মালিকানাধিন খতিয়ানভুক্ত জমি। তারপরও মেয়র মুজিবুর রহমানের আন্তরিকতায় আশপাশের পরিবেশের বিষয়টি চিন্তা করে নিরাপদ দুরত্বে ময়লা ফেলার জন্য অন্যত্র জমি কেনার প্রক্রিয়া চলছে বলে আমরা জানি।
উক্ত সংবাদে এ বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তাই আমরা এ ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি জানাতে চাই-ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন, তা না হলে জনগন সময় সুযোগ বুঝে উচিৎ জবাব দিবে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের চেষ্টা করবেন না। কক্সবাজারের মানুষ এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আগেও সোচ্ছার ছিল এখনো আছে।
তাই ষড়যন্ত্রমূলক ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়েছে।
এতে পৌর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ পৌরবাসীকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সভাপতি নজিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী এনামুল হক, আসিফ উল মওলা, নাজমুল হোছাইন নাজিম, ডাঃ পরিমল, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সেলিম নেওয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক মাহমুদ, মিজানুর রহমান, এড. রিদুয়ান আলী, শুভদত্ত বড়ুয়া, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, জিয়া উল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, আজিমুল হক, ফয়সল হুদা, দেলোয়ার হোসেন জান্নু, বজল করিম, আবু আহমদ, সোহেল রানা, তাজ উদ্দিন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, গফুর মিয়া, জাফর আলম, খোরশেদ আলম, আমির উদ্দিন, জহিরুল কাদের, মেজবাহ উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, দিপক পাল, নজরুল ইসলাম ও মাহবুবুর রহমান মাবু।
Posted ৪:০০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta