কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৯ এপ্রিল) :: ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইএস কর্তৃক শ্রীলঙ্কার বোমা হামলা এবং বাংলাদেশ হামলার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়ার আতঙ্কের জেরে পর্যটন শহর কক্সবাজারের বিভিন্ন তারকা মানের হোটেলগুলোতে কড়া নিরাপত্তায় আনা হয়েছে। বিশেষ করে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে কর্মরত বিদেশীদের অবস্থান করা তারকা মানের হোটেলগুলোতেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ নিরাপত্তা পরিলক্ষিত হয়েছে।
সোমবার কক্সবাজারের কলাতলীর তারকা হোটেল সাইমন রিসোর্টে গিয়ে দেখা যায় হোটেলে বর্ডার ও গেস্টদের প্রবেশের সময় কড়াকড়ি পরিলক্ষিত হয়।এসময় ডিটেকটিভ মেশিনের মাধ্য শরীর ও লাগেজ সমুহ চেক করতে দেখা যায়।
একই অবস্থা শহরের অন্যান্য তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস, লং বীচ, হেরিটেজ, সিগাল,নিসর্গ,সী প্যালেসও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কক্সবাজারের এসব তারকা হোটেলগুলোতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার(আইএনজিও) কয়েক হাজার বিদেশী নাগরীক অবস্থান করছেন। মূলত হোটেলে তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এ ব্যবস্থা নিয়েছে হোটেলগুলো।
সম্পতি(বৃহস্পতিবার) ব্রাসেলস ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) এক পূর্বাভাসে বলেছে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গা সংকট ঘিরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৭ এপ্রিল বাংলায় লেখা একটি পোস্টার প্রকাশ করে বাংলাদেশ হামলার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয় ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইএস। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।আইএসপন্থী একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত বাংলায় লেখা একটি পোস্টারের সূত্রে এই হামলা পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার কথা জানায় তারা। পোস্টারে বাংলায় লেখা হয়েছে ’শিগগিরই আসছি’।
এর এক সপ্তাহ আগে ২১ এপ্রিল সকালে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে ৩টি গির্জা ও ৩টি পাঁচ তারকা হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয় ২৫৩ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৫শ’রও বেশি। হামলার পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) একটি ভিডিও প্রকাশ করে তার দায় স্বীকার করে।
এছাড়া পৌনে ৩ বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর তার দায় স্বীকার করে বার্তা প্রকাশ করেছিল আইএস। ২০১৬ সালের ১ জুলাই সংঘটিত ওই হামলায় ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে হত্যা করে। আর অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরেরদিন ভোরে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে বাকি জিম্মি উদ্ধার করা হয়। তবে হামলায় জড়িত পাঁচ জঙ্গি এবং ওই রেস্তোরাঁ কর্মী সাইফুল ইসলাম চৌকিদার নিহত হয়।
Posted ১:৪১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta