মো: রেজাউল করিম,ঈদগাঁও(৭ নভেম্বর) :: মাদকের টাকা না পেয়ে বৃদ্ধ বাবার উপর উপর্যপুরী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জন্মদাতা বাবা।
হামলা থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে উল্টো মামলা জড়িয়ে দিল দুই চাচাত ভাই ও অপর বোনের জামাইকে।এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ছেলে ও নাতি।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোমাতলী চরপাড়া এলাকায়।হামলায় শিকার বাবা ফজল আহমদ (৮৫) তিনি একই এলাকার মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে।
ফজল আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সোহেল দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিল।বিভিন্ন বাহনা দিয়ে টাকা আদায় করত । ইত্যবসরে জানতে পারি ছেলে সোহেল মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।মাদকের অর্থ যোগাড় করতে প্রতিদিন বাড়ির আসবাবপত্র চুরি করে বিক্রি করে দিত।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১ নভেম্বর বিকাল দুইটার দিকে পিতা থেকে মাদক সেবন করতে টাকা খুঁজে।টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ছেলে সোহেল ও নাতি সাজ্জাদুল করিম তার উপর উপর্যপুরী মারধর শুরু করে।শোর চিৎকারে ফজল আহমদের ভাইপো মৃত আবদুল করিমের পুত্র আজিজুল হক খোকন মৃত ফজল করিমের ছেলে মুখশেদুল আমিন বাচ্চু এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলায় চালায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে মাদকের অর্থের জন্য জন্মদাতা বাবার উপর হামলা চালায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।অভিযুক্ত সোহেল ও সাজ্জাদের শাস্তি দাবী করেন স্থালীয় লোকজন।
অপরদিকে এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে উদ্ধার করতে যাওয়া দুই যুবকসহ অপর আত্বীয় ভারুয়াখালী হাজী পাড়া এলাকার মাষ্টার শরফত আলীর ছেলে জাহেদুল ইসলাম জাহেদকে বিবাদী করে সোহেলের বোন স্বামী পরিত্যক্ত কহিনুর আক্তার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আজিজুল হক খোকন বলেন, চাচাকে মারধর করতে দেখে এগিয়ে যায় আমরা।এসময় আমাদের উপরও দেশীয় তৈরী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মোখশেদুল আমিন বাচ্চু বলেন, এদিন চাচাকে উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম আমি আর খোকন। পারিবারিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দুই ভাইসহ সেদিন অনুপস্থিত বোনের জামাই জাহেদকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি আরো বলেন সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা হোক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহেল এর সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে বক্তব্য পাওয়া গেলে গুরুত্ব সহকারে ছাঁপা হবে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আলা উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ঘটনার দিন ফজল আহমদ মোবাইলে মারধরের বিষয়টি জানালে মুরুব্বি হিসাবে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম।এবং মঙ্গলবার পুনরায় সোহেলের রুম দেখতে গিয়ে মাদক সেবনের সরঞ্জামও দেখতে পান বলে জানান মেম্বার আলা উদ্দীন।
Posted ৬:২৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta