কক্সবাংলা রিপোর্ট :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাব সরে গেছে কক্সবাজার উপকূলের ওপর থেকে। ফলে বৃষ্টির প্রবণতাও কমে গেছে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতও নামিয়ে ফেলেছে আবহাওয়া অফিস।
রোববার কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের উত্তর ঝাড়খন্ড এলাকায় অবস্থান করছে। এর আগে এটি উত্তর-পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও বাংলাদেশের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, লঘুচাপটি সরে গেছে কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকা থেকে। ফলে উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা কমে গেছে। তাই কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
এরআগে গভীর সমুদ্রে লঘুচাপের প্রভাব ও পুর্নিমার স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে শনিবার কুতুবদিয়া উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয় । আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থান বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাজির পাড়া, তেলি পাড়া, হায়দার পাড়া, কিরণ পাড়া এবং উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের কাইছার পাড়াসহ বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়।
এছাড়া সাগরে বৈরী আহবাওয়া কমে আসায় উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় অপেক্ষমান শত শত ট্রলার আবারও ইলিশ শিকারে নেমে পড়েছে।সতর্ক সংকেত উঠে যাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে জেলে ও বোট মালিকরা।
উল্লেখ্য গত ২০ মে থেকে দীর্ঘ ৬৫ দিন পর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ২৩ জুলাই। ওইদিন মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে সমুদ্রে যাওয়ার সব প্রস্তুতি নিলেও হঠাৎ সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠে সাগর। যার ফলে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ইলিশ আহরণে যেতে পারছিলনা জেলেরা। এসময় কক্সবাজার শহরের নুনিয়াড়ছড়ার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে থাকে ট্রলারগুলো।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী,কক্সবাজার জেলায় ৬৩ হাজার ১৯৩ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন।আর নিবন্ধিত ট্রলার রয়েছে ৫ হাজার ৫৪৯টি।আর দেশে সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে কক্সবাজার জেলা প্রতিবারই প্রথমস্থানে থাকছে।জেলায় গতবছর ৩৫ হাজার মেট্রিক টন সামুদ্রিক মাছ আহরণের মধ্যে ১৫ হাজার মেট্রিক টন শুধু ইলিশ আহরণ করা হয়। এবছর জেলায় ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার মেট্রিক টন।
Posted ১১:২৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta