কক্সবাংলা ডটকম :: আফগানিস্তান এখন পুরোপুরি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। সেখানকার অন্তর্বর্তীকালীন নবগঠিত সরকার এখন নতুন এজেন্ডার ভিত্তিতে শাসন শুরু করেছে করছে। নতুন শাসন ব্যবস্থায় ‘সত্কর্ম প্রচার এবং মন্দ প্রতিরোধ’ মন্ত্রকও রয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের নাম সুন্দর মনে হতে পারে কিন্তু এই মন্ত্রকের শাস্তির নিদান শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার। এদিকে তালিবানিদের বরাবরই কঠোর শরিয়া আইন প্রয়োগের জন্য কুখ্যাতি রয়েছে। এবার মসনদে বসেই সেই আইন প্রনয়োনে জোরকদমে মাঠে নেমে পড়েছে তালিবানিরা।
হাত কেটে ফেলা হবে চোরেদের
এদিকে কাবুলের মসনদে বসেই রোজই মহিলাদের নিত্যনতুন ফতোয়া জারি করে চলেছে তালিবানেরা। এমনকী কর্মস্থলে যোগ দেওয়া তো দূর পুরুষ সঙ্গী ছাড়ি বাড়ির বাইরে বেরোনও নিষিদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় এবার চোরেদের জন্য জারি হল কঠোর আইন। চুরি করে ধরা পড়লেই কেটে নেওয়া হবে চোরের হাত। আর এই আইন পুরোদস্তুর কার্যকরী করতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে ‘সত্কর্ম প্রচার এবং মন্দ প্রতিরোধ’ মন্ত্রকও।
অবৈধ সম্পর্কে জড়িত থাকলে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা
এমনকী অবৈধ যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কড়া শাস্তির নিদান দিয়েছে তালিবানিরা। অবৈধ যৌন সম্পর্কে কেউ জড়িত থাকলে তাকে পাথর দিয়ে থেঁতলে মারা হবে বলে ফতোয়া জারি করেছে তালিবানেরা। এই প্রসঙ্গে একজন তালিবান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামের সেবা করা, যার জন্য ভালো ও যোগ্য মন্ত্রকের প্রয়োজন। আর সেই কাজই করবে ‘সত্কর্ম প্রচার এবং মন্দ প্রতিরোধ’ মন্ত্রক।
শরিয়া শাসন মেনেই শাস্তি
এদিকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের জন্য দায়িত্বে রয়েছে তালিবান নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি দাবি করেন, তালিবান শাসন লঙ্ঘনকারীদের “ইসলামী নিয়ম” অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। তাতে বর্হিবিশ্ব কী ভাবল তাতে বিশেষ যা আসে না তাদের। এমনকী কেউ যদি খুন করে থাকে তার জন্য শুরুতেই দেওয়া হবে মৃত্যুদণ্ড, সঙ্গে করা হবে বিশালাকার জরিমাণা। এদিকে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায় আজ থেকে ২০ বছর আগে যে সময় আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ছিল সেই সময়েও ‘সত্কর্ম প্রচার এবং মন্দ প্রতিরোধ’ তৈরি করা হয়েছিল।
ফিরে যেতে হবে ২০ বছর আগে
তবে ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে এই মন্ত্রকের ভূমিকা বরাবরই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আফগানিস্তানের রাস্তায় নীতি পুলিশি করতে এই মন্ত্রকের জুড়ি মেলা ভার। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বেত্রাঘাত, পাথর এবং এমনকি অপরাধের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে হত্যা করাও হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে তালিবান নেতাদের সাফ বক্তব্য, “আমরা কেবল ইসলামী নিয়ম-কানুন সম্বলিত একটি শান্তিপূর্ণ দেশ চাই। শান্তি ও ইসলামী শাসন আমাদের একমাত্র কামনা।”
Posted ২:৪০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta