কক্সবাংলা রিপোর্ট(১১ জুন) :: দেশের প্রথম করোনার ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত কক্সবাজারে চলছে টানা লকডাউন। তা সত্বেও সংক্রমণে এখনও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। জেলায় চড়চড় করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে সর্বাধিক আক্রান্তের হারে ঢাকা,নারায়নগঞ্জ,চট্রগ্রামের পরেই রয়েছে কক্সবাজার জেলা। এরই মধ্যে জেলায় করোনাক্রান্ত ১৩শ ছাড়িয়ে গেছে।আর করোনায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৩ রোহিঙ্গাসহ ২৭ জনের। আর তাই মানুষজন আছেন চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়।
এরই মাঝে জেলাবাসীর জন্য আরেকটি দু:সংবাদ হচ্ছে কক্সবাজার জুড়ে হঠাৎ বেড়েছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সোমবার ৯৯জন,মঙ্গলবার ৯৫জন,বুধবার৯২ আক্রান্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬২ জন। মাত্র চার দিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৭ জন।আর করোনায় দেশে সর্বাধিক আক্রান্তের হারে চতুর্থ স্থান আরও মজবুত করল কক্সবাজার। ২ এপ্রিল জেলায় করোনা পরীক্ষা শুরুর পর ৭১তম দিনে এসে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ১৩৩৭ জন।আর সুস্থ হয়েছেন ২৯৭জন। আর গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যূ হয়েছে এক ব্যাংক ম্যানেজারের।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া কক্সবাংলাকে জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় দুটি পিসিআর ল্যাবে ৪৩৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৭১টি নমুনার ফল আসে পজিটিভ।এর মধ্যে ৭১ জন নতুন পজিটিভ। আর জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৬২ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে সদরের সর্বাধিক ৪১ জন,রামুর-৪,উখিয়ার-১০ জন,চকরিয়ার-২ জন,টেকনাফের-৫জন। জেলার বাইরে বান্দরবানের ১ জন,লোহাগাড়ার ৫জন ও সাতকানিয়ার ১জন নতুন পজিটিভ অছেন। এছাড়া ২টি ফলোআপ(পুনরায় পজিটিভ) রয়েছে।বাকী ৩৬২টি নমুনা নেগেটিভ আসে।
এনিয়ে জেলায় ৭১তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়াল মোট ১৩৩৭ জন এবং মারা গেছে ২৭ জন। এছাড়া ৩৬ রোহিঙ্গা করোনায় আক্রান্ত ছাড়াও তিন জনের মৃত্যূ হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে,১১জুন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনার হটস্পট সদর উপজেলায় আক্রান্ত এবং মৃত্যূ সবচেয়ে বেশি। এখানে মোট আক্রান্ত‘র সংখ্যা ৫৮৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫৯ জন। এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চকরিয়া উপজেলায় ২৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২১জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উখিয়া।এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২১৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৯জন। এর পরে রয়েছে রামুতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১০০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০জন। পেকুয়ায় পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৭জন।মহেশখালীতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন।টেকনাফে পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০জন এবং কুতুবদিয়ায় পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ জন।
Posted ১০:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta