হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ(২০ জুন) :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে বা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে সেবা দিতে গিয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১ জন চিকিৎসক, ৪ জন কর্মচারী এবং ১২ পুলিশ সদস্যের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলায় ১৬৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ (আমি) ১১ জন চিকিৎসক ও ৪ জন কর্মচারী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪ জন এনজিও সংস্থা পরিচালিত চিকিৎসকও রয়েছেন । আর মাত্র দুজন চিকিৎসক রয়েছেন তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। উপজেলার সাড়ে চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।’
টিটু চন্দ্র শীল আরও বলেন,শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৪ রোহিঙ্গাসহ ১৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩ জন, মারা গেছেন ৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২৩ জন এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৯০ জন। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৫৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, শুরু থেকেই লকডাউন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচার-প্রচারণার কাজে জড়িত থাকায় থানা–পুলিশের ২ জন সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ১২ জন পুলিশ সদস্য কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন।
টেকনাফ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় রেড জোনের আওতায় টেকনাফ পৌরসভাকে ৭ জুন থেকে ১৪ দিনের লকডাউন করা হয়েছে। এটি এখনো শিথিল করা হয়নি। আবারও সাত দিনের জন্য বাড়ানো হবে।
ইউএনও বলেন, শত চেষ্টার পাশাপাশি মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি যাঁরা শুধু ঘোরাফেরা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Posted ৮:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ জুন ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta