কক্সবাংলা ডটকম(২ ফেব্রুয়ারি) :: চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মারা গেছে তিন শতাধিক মানুষ। এছাড়া চীনের বাইরে প্রথম ফিলিপাইনে এ ভাইরাসের সংক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় চীনে ভ্রমণ ও চীনা নাগরিকদের ভিসা দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার পর ভারতসহ এ নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
খবর এএফপি, সিএনএন ও হিন্দুস্তান টাইমস।
চীনের বাইরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, সুইডেন ও ভারতসহ ২৪টির বেশি দেশ থেকে। এরই মধ্যে চীনে এ সংক্রমণের কেন্দ্র হুবেই প্রদেশে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা, বিশেষ করে অন্য এলাকা থেকে অঞ্চলটির বিচ্ছিন্নকরণ আরো জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে বিদেশী নাগরিক যারা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে চীন ভ্রমণ করেছে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্য সচিব অ্যালেক্স আজার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের একান্ত আত্মীয় ছাড়া বিদেশী নাগরিকদের আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক নন এমন চীনফেরত ব্যক্তিদের দেশটিতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তবে চীনফেরত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিককে দেশে ঢুকতে দেয়া হলেও তাদের দুই সপ্তাহ স্বেচ্ছায় ‘বিচ্ছিন্ন’ অবস্থায় থাকতে হবে।
এছাড়া ভিয়েতনাম চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছে, তারা চীনা নাগরিকদের ভিসাহীন ভ্রমণ স্থগিত করতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশটিতে চীনা নাগরিকদের ওয়ার্ক ভিসাও দেয়া হবে না। একই ধরনের পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইতালি, সিঙ্গাপুর ও মঙ্গোলিয়া।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ব্রিটেন ও জার্মানি তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে চীন বলছে তারা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকে দিতে সক্ষম। এ অবস্থায় চীন ভ্রমণে না যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শকে তারা অমানবিক বলে দাবি করছে।
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত শনিবার দেশটিতে ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে এটাই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
চীনের উহানের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি তীব্র নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর মারা যান। তিনি গত ২১ জানুয়ারি চীন থেকে ফিলিপাইনে আসেন। তার সঙ্গে ৩৮ বছর বয়সী এক নারীও রয়েছেন, যাকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে।
এদিকে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িকভাবে চীনা পর্যটকদের জন্য ই-ভিসা সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। পরবর্তী ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত চীনে বসবাসরত অন্য দেশের নাগরিকদেরও ই-ভিসা দেয়া হবে না। ২ ফেব্রুয়ারি ভারত চীনে আটকে পড়া ৩২৩ জন ভারতীয় ও মালদ্বীপের ৭ জন নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছে। এ পর্যন্ত দেশটি দুই দফায় চীন থেকে ফেরত এনেছে মোট ৬৫৪ জনকে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার নাগরিককে চীন থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরো বেশকিছু দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
Posted ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta