মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কলিঙ্গ যুদ্ধ : ইতিহাসের এক রক্তক্ষয়ী উপাখ্যান

বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০১৭
1879 ভিউ
কলিঙ্গ যুদ্ধ : ইতিহাসের এক রক্তক্ষয়ী উপাখ্যান

কক্সবাংলা ডটকম(৩১ অক্টোবর) :: লাশের স্তূপ থেকে এক আহত সৈনিক বের হয়ে এসেছেন। সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত এই সৈনিক জ্ঞান হারিয়ে চাপা পড়েছিলেন লাশের স্তূপের নিচে। জ্ঞান ফেরার পর থেকেই তার প্রচণ্ড তৃষ্ণাবোধ হচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রের পাশ দিয়ে বয়ে চলা দায়া নদীর দিকে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এক আঁজলা পানি না পেলে এই যাত্রা আর বাঁচবেন না এই তার আশঙ্কা!

নদীর কাছাকাছি চলে আসার পর উঠে বসলেন সৈনিক। যেই না পানি স্পর্শ করতে যাবেন, তখনই ভয়ে শিউরে উঠলেন তিনি। অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন, “পানি কোথায়?”

বিশাল দায়া নদীর পানি শুকিয়ে যায়নি। তা কল্পনায়ও অসম্ভব! তাহলে কী দেখে ভয় পেয়েছিলেন সেই সৈনিক? নদীর পানি ঠিকই বয়ে চলছিল আপন খেয়ালে। কিন্তু সেদিন দায়া নদীর পানি ঠিক আমাদের পরিচিত রঙহীন পানির মতো ছিল না। সেই পানির রঙ ছিল টকটকে লাল!

হ্যাঁ, কলিঙ্গ যুদ্ধের কথাই বলছিলাম। উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত যুদ্ধ সম্রাট অশোকের কলিঙ্গ যুদ্ধ। যুদ্ধের রক্তপাতের তীব্রতা এতোই ছিল যে, কলিঙ্গের দায়া নদী সৈনিকদের বুকের রক্তে টকটকে লাল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের আজকের আলোচনা সেই ঐতিহাসিক কলিঙ্গ যুদ্ধকে ঘিরেই।

কলিঙ্গ একটি রাজ্যের নাম

কলিঙ্গ যুদ্ধ সংঘটিত হয় মৌর্য বংশের সম্রাট অশোক এবং প্রাচীন ভারতের শক্তিশালী রাজ্য কলিঙ্গের মধ্যে। প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজ্য কলিঙ্গের পূর্বদিকে গঙ্গা এবং উত্তরে গোদাবরী নদী বয়ে চলেছে। এর উত্তরে মৌর্য সাম্রাজ্যের দক্ষিণ রাজ্য অবস্থিত ছিল। বর্তমানে মানচিত্রে চোখ বুলালে প্রাচীন কলিঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ নগরীসমূহকে নব্য উড়িষ্যার মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে।

প্রাচীন ভারতের মানচিত্রে কলিঙ্গ; সূত্রঃ Wikimedia commons

কলিঙ্গের সমৃদ্ধির প্রতীক ছিল ‘হাতি’। প্রাচীন ভারতে কলিঙ্গের হাতির মতো বিশাল হাতি আর কোথাও কেউ দেখেছে কিনা সন্দেহ আছে! গ্রিক পণ্ডিত দিউদারাসের পাণ্ডুলিপি ঘেঁটে পাওয়া যায়, “কোনো বহিরাগত রাষ্ট্রের আক্রমণের মুখে কলিঙ্গ মুখ থুবড়ে পড়েনি। কলিঙ্গের শক্তিশালী হস্তিবাহিনীর সাথে পাল্লা দেয়ার মতো ক্ষমতাধর রাজ্য তখন একটিও ছিল না”

কলিঙ্গ রাজ্যের অধীনে বেশ কিছু সমুদ্র বন্দর ছিল। যার বদৌলতে কলিঙ্গ ব্যবসা-বাণিজ্যে ভারতবর্ষের শীর্ষে আরোহণ করে। তাদের সামরিক শক্তি ছিল অদম্য। হস্তিবাহিনী ছাড়াও কলিঙ্গের সাধারণ সৈন্য সংখ্যা যেকোনো রাজ্য থেকে বেশি ছিল। গ্রিক দূত মেগাস্থিনিস তার পাণ্ডুলিপিতে পরোক্ষভাবে কলিঙ্গের সামরিক শক্তির বর্ণনা তুলে ধরেন।

তিনি লিখেন, “প্রথম মৌর্য সম্রাটের সময় কলিঙ্গের রাজার রক্ষার্থে প্রায় ৬০ হাজার পদাতিক, ১ হাজার অশ্বারোহী এবং ৭০০ হাতি মজুদ ছিল।” ভেবে দেখুন, যদি রাজার ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষায় এত বড় বাহিনী নিয়োজিত থাকে, তাহলে পুরো রাজ্য জুড়ে কত বিশাল বাহিনী নিয়োজিত থাকতে পারে!

মৌর্য সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট অশোক

মৌর্য বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট অশোক। তার পিতামহ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ভারতের বুকে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। অশোক সম্রাট বিন্দুসারের পুত্র ছিলেন। সম্রাট অশোকের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি বলতে গেলে সমগ্র ভারত উপমহাদেশ জয় করেছিলেন।

অশোকের সাম্রাজ্য পশ্চিমে আফগানিস্তান থেকে পূর্বে বাংলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সিংহাসনের বসার পর তিনি তার পিতামহের রাজ্য বিস্তৃতিতে মনোযোগ দেন। মৌর্য বংশের সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত একবার কলিঙ্গ জয় করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। তার পুত্র সম্রাট বিন্দুসারও একবার কলিঙ্গ অভিযান চালান এবং ব্যর্থ হন।

সম্রাট অশোকের তৈলচিত্র; সূত্রঃ historydiscussion.net

কিন্তু সম্রাট অশোক দমে যাওয়ার পাত্র নন। ভারতের বুকে কলিঙ্গ রাজ্য দক্ষিণাঞ্চলের সাথে উত্তর প্রদেশের যোগসূত্র হিসেবে অবস্থান করছিল। কলিঙ্গ জয় করতে পারলে দক্ষিণের অভিযান পরিচালনা করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এই কথা মাথায় রেখে সম্রাট অশোক নতুন করে কলিঙ্গ জয়ের নকশা শুরু করেন।

চন্দ্রগুপ্তের আমলে মৌর্যদের অধীনে ৬ লাখ পদাতিক, ৩০ হাজার অশ্বারোহী, ৯ হাজার হাতি এবং ৮ হাজার যুদ্ধরথ বিদ্যমান ছিল। সম্রাট অশোকের আমলে সেনাবাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এমনকি তিনি সিরিয়া থেকে সুদক্ষ সেনাসদস্য এনে তার দলে ভেড়ান। এ থেকেই বোঝা যায় সম্রাট অশোক কলিঙ্গ জয়ের জন্য কেমন মরিয়া ছিলেন!

যুদ্ধের পটভূমি

কলিঙ্গ যুদ্ধের সঠিক কারণ নিয়ে ইতিহাসে শক্ত কোনো দলিল মেলেনি। তবে কলিঙ্গ জয়ের মাধ্যমে মৌর্যরা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকে লাভবান হবেন- কথাটি সম্রাট অশোক জানতেন। ইতিহাসবিদদের মতে, কোনো রাজ্য যদি মৌর্যদের বিরুদ্ধে সমান তালে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে, তাহলে সেটা কলিঙ্গ রাজ্য। অর্থাৎ মৌর্যদের ভারত শাসনে কলিঙ্গ ছিল পথের কাঁটা।

কলিঙ্গ যুদ্ধক্ষেত্র এবং এর পাশ দিয়ে বয়ে চলা দায়া নদী; সূত্রঃ Wikimedia commons

কলিঙ্গ যুদ্ধের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ সালে। সম্রাট অশোক তার শাসনের দ্বাদশ (মতান্তরে অষ্টম) বছর পূর্তিতে কলিঙ্গ অভিযানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন কলিঙ্গ রাজ্য তৎকালীন জাভা, সিংহল এবং মালয় রাজ্যের সাথে হাত মিলিয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছিল।

সম্রাট অশোক আর দেরি করতে চাচ্ছিলেন না। তিনি কলিঙ্গের রাজা আনন্দ পদ্মানাভানের নিকট দূত প্রেরণ করলেন। অশোক অবিলম্বে কলিঙ্গকে মৌর্য বংশের সমীপে আনুগত্য স্বীকার করার আদেশ  দেন। রাজা আনন্দ এই অপমানে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে অশোকের দাবি নাকচ করে দেন। সম্রাট অশোক যেন এই বার্তার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। তিনি নিজে শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী নিয়ে কলিঙ্গের দিকে যাত্রা শুরু করেন। ওদিকে কলিঙ্গের যোদ্ধারাও নিজেদের অস্ত্র শাণ দিতে থাকেন।

সম্রাট অশোকের শাসনামলে কলিঙ্গ যুদ্ধই একমাত্র যুদ্ধ যেখানে তিনি সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।

বেজে উঠলো যুদ্ধের দামামা

অশোকের সুসজ্জিত বিশাল বাহিনীর সাথে কলিঙ্গ বাহিনীর প্রথম সাক্ষাত হয় ধৌলি পাহাড় ময়দানে। সেখানে দুই বাহিনী তাদের সকল শক্তি নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রথমদিক থেকেই অশোকের কলাকৌশলের কাছে কলিঙ্গের সৈনিকরা পেরে উঠছিলেন না।

কলিঙ্গ যুদ্ধ; সূত্রঃ indiacontents.com

কিন্তু কলিঙ্গের শক্তিশালী বাহিনী এত সহজে পরাজয় স্বীকার করতে নারাজ। তারা বিভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকেন। যুদ্ধে দু’পক্ষেরই ব্যাপক রক্তক্ষয় হয়। সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। তাই তিনি ভালো করেই জানতেন কীভাবে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের কলিঙ্গ সৈন্যরা পিছু হটতে থাকেন। সম্রাট অশোক ধরেই নিয়েছিলেন যে তিনি জয়ী হয়েছেন, কিন্তু তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। কলিঙ্গ সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে যোগ দেয় সাধারণ জনগণ। তৎকালীন জনগণের মাঝে স্বাধীনতাবোধের এই দৃষ্টান্ত ছিলো বিরল

সময় যত গড়াতে থাকে, যুদ্ধের তীব্রতা তত বাড়তে থাকে। যুদ্ধের শুরু ধৌলি পাহাড় ময়দানে হলেও দেখতে দেখতে একসময় সেটা পুরো কলিঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। কলিঙ্গের সক্ষম পুরুষরা যুদ্ধে যোগদান করতে থাকেন।

কলিঙ্গ যুদ্ধে কলিঙ্গের সাধারণ জনগণরাও যোগ দেন; সূত্রঃ historydiscussion.net

যুদ্ধের ময়দান ক্রমেই লাশের পর লাশের স্তূপ গড়ে ওঠে। কলিঙ্গের আকাশে তখন শকুনের আনাগোনা। এই বীভৎস দৃশ্য দেখে যে কারো মন বিষিয়ে উঠবে। কিন্তু কোনো পক্ষই হাল ছেড়ে দিতে রাজি নয়। যুদ্ধ চলতে থাকে পুরোদমে।

যুদ্ধক্ষেত্রের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শান্ত নদী দায়া। দেখতে দেখতে দায়া নদীর পানি রক্তের মিশেলে টকটকে লাল হয়ে গেল। নদীর স্রোত সেই রক্ত নিয়ে পুরো ভারত জুড়ে বয়ে চললো, ছড়িয়ে দিলো কলিঙ্গের হাহাকার! একসময় মনে হচ্ছিল যুদ্ধের ফলাফল কলিঙ্গদের পক্ষে যাবে, কিন্তু অপরাজেয় অশোক শেষপর্যন্ত বিজয়ী হলেন। কলিঙ্গের প্রতিটি সৈনিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেলেন। প্রায় এক বছরব্যাপী চলা যুদ্ধে আনুমানিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার কলিঙ্গ সেনা প্রাণ হারান। অপরদিকে প্রায় ১ লক্ষ মৌর্য সৈনিক প্রাণ হারান। কথিত আছে, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কলিঙ্গে শ্রম খাটানোর জন্য কোনো জীবিত দাস খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শেষ হইয়াও হইলো না শেষ

কলিঙ্গ যুদ্ধের বিজয়ী সম্রাট অশোক যুদ্ধ শেষে যখন কলিঙ্গের ময়দানে বীরদর্পে পদচারণা করেন, তখন চারিদিকে মানুষের আহাজারি, কান্না আর আর্তনাদ তার মনকে ব্যথিত করে তুলে। কলিঙ্গের ঘরে ঘরে বিধবা আর পিতৃহীনদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠলো। সম্রাট অশোক এই বিজয় চাননি। তিনি কলিঙ্গ চেয়েছিলেন, কিন্তু পরিণামে পেলেন এক মৃত্যুপুরী, যার কারিগর তিনি নিজে।

ময়দানের যুদ্ধ ঠিকই শেষ হয়ে গেল, কিন্তু অশোকের মনে তখনো যুদ্ধ চলছিল। লোকমুখে প্রচলিত আছে, যুদ্ধের পর এক কলিঙ্গ বৃদ্ধা অশোকের দরবারে হাজির হন। কলিঙ্গে যুদ্ধে বৃদ্ধার স্বামী, পিতা এবং সন্তান প্রাণ হারান। তিনি কাঁদতে কাঁদতে সম্রাটকে প্রশ্ন করেন, “আপনার কারণে আমি সব হারিয়েছি। এখন আমি কী নিয়ে বাঁচবো?”

বৃদ্ধার এই প্রশ্ন সম্রাটকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলে। তার পক্ষে এই গ্লানি সহ্য করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ভেঙে পড়েন শক্তিধর সম্রাট। এরপর তিনি মৌর্য সাম্রাজ্যবাদের বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি নিজে আর যুদ্ধে অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হন এবং অহিংস নীতির অনুসারী হন।

এভাবে কলিঙ্গ যুদ্ধের ফলে অশোকের রাজ্য পরিচালনা নীতিতে অনেক বড় পরিবর্তন আসে। তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সম্রাট অশোকের গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো-

  • সম্রাট অশোক ‘ধর্ম বিজয়’ অর্থাৎ ধর্মের দ্বারা জয় নীতি প্রতিষ্ঠা করেন।
  • কখনো অস্ত্র স্পর্শ করবেন না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
  • মৌর্য সাম্রাজ্যের যুদ্ধ নীতি রদ করেন। যুদ্ধের মাধ্যমে সাম্রাজ্য বিস্তারের পন্থা বাতিল করেন।
  • তিনি হাজার হাজার স্তম্ভ নির্মাণ করেন। সেখানে অহিংসার বাণী খোদাই করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বর্তমান ভারতের জাতীয় প্রতীক বিখ্যাত ‘অশোক স্তম্ভ’ এখনো সেই ঘটনার স্মৃতি ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে।
  • তিনি ভারত জুড়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তৎপর ছিলেন।
  • তিনি ভারতের বাইরে বিভিন্ন সাম্রাজ্যে অহিংসার বাণী প্রচার করেন। তিনি শ্রীলংকা, গ্রীস, মেসিডোনিয়া এবং সিরিয়াতে বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

অহিংসার প্রতীক অশোক-স্তম্ভ; সূত্রঃ mouthshut.com

সম্রাট অশোককে ভারতের ইতিহাসে ‘মহান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তার মাহাত্ম্যের পিছনে কলিঙ্গ যুদ্ধের ভূমিকা অপরিসীম। এই যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের বুকে শান্তির বাণী প্রচারিত হয় যা যুগ যুগ ধরে এখনো টিকে আছে। পুরো ভারতবর্ষের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই কলিঙ্গ যুদ্ধ। ইতিহাসবিদদের মতে, ভারতের ইতিহাসে এর চেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর কখনো হয়নি।

কলিঙ্গ যুদ্ধ শুধু ইতিহাসের রোমাঞ্চকর ঘটনা নয়, এর মাঝে লুকিয়ে আছে অন্তর্নিহিত বাণী। বর্তমানে পৃথিবীর বুকে শান্তি বজায় রাখতে হলে আমাদের এই বাণী বুকে ধারণ করতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে হয়তো নতুন কোনো কলিঙ্গ যুদ্ধের সাক্ষী হতে হবে আমাদের।

ফিচার ইমেজঃ imgur.com

1879 ভিউ

Posted ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com