নজরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া :: কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নৌকার একক প্রার্থী ঘোষণার পর জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। সরগরম হয়ে উঠেছে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানগুলো। চায়ের দোকানগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে নির্বাচনী আড্ডা। কে জিতবে? কে হারবে? কার জনপ্রিয়তা বেশি?
এ বিষয়গুলো নিয়ে চলছে বেশিরভাগ আলোচনা। তার মধ্যে বেশী আলোচনা চলছে নৌকার প্রার্থীদের নিয়ে।একাধীক প্রভাবশালী পয়সা ওয়ালা প্রার্থীকে বাদ দিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীদেরকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেয়ার পাশাপাশি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবে কিনা তা নিয়ে বিশদভাবে চিন্তিত দলের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে উপজেলা আইশৃঙ্খলা কমিটির গত সভায় সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে নির্বাচনে কোন ধরনের কারচুপি হবে না।নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মোঃ জালাল উদ্দিন।
উপজেলার ছয় ইউপিতে নৌকার প্রার্থীসহ অন্যান্য যারা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তারা হলেন- উত্তর ধুরুং ইউপিতে; ইয়াহিয়া খান (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান আসম. শাহরিয়ার চৌধুরী (স্বতন্ত্র),সিরাজ দৌল্লাহ (স্বতন্ত্র),আসাদুল কবির (স্বতন্ত্র),আবদুল হালিম (স্বতন্ত্র) ও দেলোয়ার হোছাইন (হাতপাখা)। দক্ষিণ ধুরুং ইউপিতে; মুহাম্মদ আজম (নৌকা),বর্তমান চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধুরী (স্বতন্ত্র), সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আযাদ (স্বতন্ত্র), আবু আক্কাস (স্বতন্ত্র)ও হামিদ উল্লাহ (হাতপাখা।লেমশীখালী ইউপিতে; রেজাউল করিম (নৌকা),মুহাম্মদ রমিজ (স্বতন্ত্র),আবু মজিদ আবদুল্লাহ (স্বতন্ত্র),ফিরোজ আহমদ (স্বতন্ত্র),মুহাম্মদ শরীফ (হাতপাখা),ওয়াকি মনি (স্বতন্ত্র), ও সরওয়ার আলম (স্বতন্ত্র)।
কৈয়ারবিল ইউপিতে; সাবেক চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান জালার আহমদ (স্বতন্ত্র),মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী মুকুল (স্বতন্ত্র),জাহেদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র),আবু মুছা কুতুবী (স্বতন্ত্র) ও ওয়াহিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।বড়ঘোপ ইউপিতে; আবুল কালম (নৌকা),বর্তমান চেয়ারম্যান আনম শহীদ উদ্দিন ছোটন (স্বতন্ত্র),ছাবের আহমদ (স্বতন্ত্র),তানভীর মাহমুদ (স্বতন্ত্র),তৌহিদুল ইসলাম খোকন (স্বতন্ত্র) ও আক্কাস উদ্দিন (হাতপাখা)।আলী আকবর ডেইল ইউপিতে;আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সিকদার (নৌকা),সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ খান চৌধুরী (স্বতন্ত্র),আবদুল লতিফ (স্বতন্ত্র) ও মুহাম্মদ ইদ্রিচ (হাতপাখা)।
তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়েচ্ছে মেম্বার প্রার্থীর সংখ্যা। সবাই যেন চাইছে এলাকার জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবা করতে। আবার অনেকেই ডেমী প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে জমা দিয়েছেন । শুক্রবার সারাদিন বাছাইয়ের পর সন্ধ্যায় পাওয়া যাবে বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা।
অভিজ্ঞদের ধারণা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও দলের ইমেজ রক্ষায় কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে দলীয় প্রার্থীদের।কারণ প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী (স্বতন্ত্র)। তাদের মতে দলের নেতা-কর্মীরা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ক্লেশ ঝেড়ে একযোগে কাজ করলে ভিন্ন কিছু হতে পারে এবার । কারন হিসেবে তারা জানিয়েছেন যে সব প্রার্থীরা এলাকায় সময় দিয়েছেন জনগনের সুখ দুঃখের খবর নিয়েছেন তারাই কিন্তু জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন এবং তাদের জেতার সম্ভাবনাও বেশি।তাদের মতে নির্বাচনী কৌশলের উপর নির্ভর করছে কেমন জমবে এবার কুতুবদিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
কুতুবদিয়ায় ছয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে যারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন তারা হলেন বড়ঘোপ ইউনিয়ন আবুল কালাম, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সিকদার, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে আজমগীর মাতবর, লেমশীখালী ইউনিয়নে রেজাউল করিম, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে মোহাম্মদ আজম সিকদার ও লেমশীখালী ইউনিয়নে মোঃ ইয়াহিয়া খাঁন।
উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দরা মনে করেন এবার তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবীর মুখে তাদের হাতে নৌকার বৈঠা তুলে দিয়েছেন নেত্রী। এখন নেত্রীর মুখ রক্ষার দ্বায়িত্ব তাদের।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করলে কুতুবদিয়ার ছয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে উৎসব মুখর ও প্রাণবন্ত।
Posted ৮:১২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta