নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া :: বিতর্ক যেন কোনভাবেই পিছু ছাড়ছেনা উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের। রোহিঙ্গা নাগরিককে ভোটার করা,ভোটার হালনাগাদে জনহয়রানিসহ নানা অভিযোগে অনেকবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। এবার ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে উত্তর ধুরুং ইউপি’র চেয়ারম্যান আবদুল হালিমকে ১নং আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ শাহাজাহান। জানা গেছে, মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছেন কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাঈদীন নাঁহী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুন (রবিবার) ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন, উত্তর ধুরুং ইউপি’র চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার, ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছাবের আহমদ, মোঃ রোবেল, নেজাম উদ্দিন ও আবদুল মান্নান।
বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড জইজ্যার পাড়া এলাকার মরহুম গুরা চাঁনের পুত্র মরহুম আবদুল কাদেরের ১৪ জন ওয়ারিশ। তাদের মাঝে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহজাহান বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলা ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে পৃথক দু’টি এম,আর মামলা যথাক্রমে এমআর ৭৪৯/২০২০ইং এবং এমআর ৯৯৫/২০২২ইং দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলা দু’টি কুতুবদিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
মামলা তদন্তের জন্য ওয়ারিশ সনদ সহ প্রয়েজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উভয়পক্ষকে উপজেলা ভূমি অফিসে হাজির হতে নোটিশ পাঠানো হয়।
এদিকে গত ৯ জুন মরহুম আবদুল কাদেরের ১৪ জন ওয়ারিশের মধ্যে ১০ জন ওয়ারিশকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ৪ জনকে ওয়ারিশ দেখিয়ে একটি ‘ওয়ারিশ সনদ’ প্রদান করেন চেয়ারম্যান আবদুল হালিম। সেই ‘ওয়ারিশ সনদ’ এর উপর ভিত্তি করে এম,আর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
ভুক্তভোগী শাহাজান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে গত ১৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাকে ১৪ জন ওয়ারিশের নাম উল্লেখ করে আরো একটি ‘ওয়ারিশ সনদ’ প্রদান করেন চেয়ারম্যান। এসময় আগের দেয়া ‘ওয়ারিশ সনদ’ এর বিষয়ে কোন আইনি ব্যবস্থা নিলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করবেন বলেও শাসিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বলেন, স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছাবের আহমদ এর সনাক্ত মতে আমি ওয়ারিশ সনদে দস্তখত প্রদান করেছি। পরে জানতে পারি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পূর্বের ওয়ারিশ সনদটি নেয়া হয়েছে।
এদিকে ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ওয়ারিশ সনদ নিয়ে থাকলে সেটি আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
Posted ১১:৩৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta