নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(২৮ মে) :: কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (২৮ মে) বিকাল চারটার দিকে উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।এতে প্রতিপক্ষের আঘাতে জাহাঙ্গীর আলম(৩৩)নামের একব্যক্তি নিহত হয়।
নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের দরদ উল্লাহর পুত্র বলে জানা গেছে।এসময় আহত হয় উভয় পক্ষের ৮জনব্যক্তি।আহত ব্যক্তিদের কুতুবদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় নারীসহ সন্দেহজনক ১১জনকে আটক করেছে পুলিশ।
খবর নিয়ে জানা যায়, পিয়ারা কাটা এলাকার রেজাউল করিমের পুত্র সায়েম (১৮),ছাবের আহমদের পুত্র জুয়েল(২৫),নুর হুছাইনের পুত্র জাফর আলম(১৮)ও আবু বকরের পুত্র এরশাদুল করিম রিপন (২৮)সহ আরও ৭/৮ জন যু্বক লেমশীখালী আবুল্লার দোকান হতে ফুটবল খেলার কথা বলে একটি টেম্পু ভাড়া করে দ্বীপের পশ্চিমে সৈকতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
কিছু দূর আসার পর মনি মাঝির দোকানের সামনে সবাই নেমে যায়।
পূর্বের তুচছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তাদের।খবর পেয়ে দোকানদারের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের আরো অনেকেই জড়ো হতে থাকে সেখানে।এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কথাকাটাকাটি সংঘর্ষে রূপ নিলে ঘটনাস্থলে নিহত হন জাহাঙ্গীর আলম।
তাদেরকে বহনকারী টেম্পু গাড়ির চালক জসিম উদ্দিন(১৮)জানান, মনি মাঝির দোকানের সামনে নামার পরপরই দোকানদারের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
উভয় পক্ষের বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৮জন হলেন, যথাক্রমে রুহুল কাদেরের পুত্র মামুনুর রশিদ(২২), মৃত মোহাম্মদ উল্লাহর পুত্র দরুদ উল্লাহ ও তার পুত্র সালামত উল্লাহ এবং সালামত উল্লাহর পুত্র মনজুর আলম, রেজাউল করিমের পুত্র সায়েম (১৮),ছাবের আহমদের পুত্র জুয়েল(২৫),নুর হুছাইনের পুত্র জাফর আলম(১৮)ও আবু বকরের পুত্র এরশাদুল করিম রিপন(২৮)।
আহতরা সকলেই ওই ইউনিয়নের পেয়ারা কাটা এলাকার বাসিন্দা।
থানা সূত্রে জানা যায়, উক্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নারীসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
Posted ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta