এম.নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(১৭ ফেব্রুয়ারি) :: কুতুবদিয়ায় লাখো বক্তের আগমনের মধ্যদিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারী (রবিবার) শুরু হচ্ছে উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক সাধক অলিকুল সম্রাট হযরত শাহ্ আবদুল মালেক মহিউদ্দিন আল-কুতুবী (রাহ.)’র ১৮তম বার্ষিক ফাতেহা।
দিনটি উপলক্ষে প্রতিবছরই কুতুব শরীফ দরবার এলাকার কয়েক শতক জমিতে ছামিয়ানা ঠাঙ্গিয়ে করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ভক্তদের জন্য নিজ নিজ এলাকর প্যান্ডেল। ভক্তদের কষ্টের কথা চিন্তা করে এবার তা আরো বৃহৎ পরিসরে করা হয়েছে।
ফাতেহা চলবে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি (রবিবার -সোমবার) ২দিন ব্যাপী ।
এদিকে মহান এ অলির কবর জিয়ারতের উদ্দেশে ১৭-২০ফেব্রুয়ারি র্পর্যন্ত ফাতিহা শরীফে অবস্থান করবেন দেশে-বিদেশের লাখ-লাখ ভক্ত-অনুরক্ত। প্রতিদিন আগমন ঘটবে লাখো ভক্তের। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রসরা সাজিয়ে দোকান নিয়ে বসেছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে দরবারে আসার পথে নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে দরবারগামী ভক্তদের। বিভিন্ন পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ ঠেসাঠেসি করে যাত্রি নেয়া হচ্ছে। পাশের উপজেলা পেকুয়া ও বাঁশখালীর বিভিন্ন জেটি ও পারাপার ঘাটে যথাযথ প্রশাসনিক নজরদারীর অভাবে দরবারে আগত নিরীহ ভক্তদের নিকট থেকে জোর পূর্বক আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ফলে আসা-যাওয়ার পথে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
শুক্রবার বড়ঘোপ ঘাট ও দরবার ঘাট সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ডেনিশ বোটে সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী জনপ্রতি ২০ টাকার ধার্য্য থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা এবং স্পীডবোটে ৭০ টাকা ধার্য্য থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।
এছাড়া ওসব ঘাটে উপজলো নর্বিাহী র্কমর্কতা র্কতৃক টাঙ্গানো টোল আদায়রে তালিকা সম্বলতি সাইনবোর্ডগুলো নষ্ট করে ফেলেছে দূস্কৃতকারীরা।
ওসব জেটি ও পারাপারঘাটে যাত্রী হয়রানি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা (ইউএনও)সুজন চৌধূরী।
Posted ২:৪৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta