কক্সবাংলা ডটকম(১২ অক্টোবর) :: সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। তবে নিম্নচাপের গতি এখনও ভারতের উপকূলের দিকে। ফলে বাংলাদেশের জন্য শঙ্কার কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এই নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এই ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এর গতি এখন ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
এদিকে, গভীর নিম্নচাপটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। তাদের গণমাধ্যমগুলো এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’ আসছে বলে শঙ্কা জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। নিম্নচাপের পাশাপাশি মৌসুমী বায়ুর প্রভাবও আছে বাংলাদেশের ওপর। তবে তা কম সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় আছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এর প্রভাবে রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে । এছাড়া দেশের অন্য এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আজ সকালে এক হাজার ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল, এখন নিম্নচাপটি এক হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে সকালে ছিল এক হাজার ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন তা এক হাজার ১৫ কিলোমিটার দূরে আছে। এদিকে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৯৪১, এখন ৯১০ এবং মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৯৫১ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, এখন আছে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে।
নিম্নচাপের কেন্দ্রে ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোর জন্য সোমবার দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Posted ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta