সংবাদ বিজ্ঞপ্তি(২ মে) :: ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪নং হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার পর জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কক্সবাজার পৌরসভা সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় এ প্রস্তুতি নেয়। সন্ধ্যায় মেয়র মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে পৌরসভা মিলনায়তনে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারের সিদ্ধান্তক্রমে শুক্র ও শনিবার সরকারী ছুটি বাতিল ঘোষনা করে পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জনগণের জান-মালের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে অফিস আদেশ জারী করা হয়েছে বলে জানান মেয়র। সে লক্ষ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশনাও দেয়া হয়।
এছাড়া সভায় কাউন্সিলর এবং পৌরসভার সিনিয়র কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। যার মোবাইল নাম্বার-০১৭৩০-৯৪৮৫৪৩ ও টেলিফোন নাম্বার-০৩৪১-৬২৩২৯।
পাশাপাশি আজ শুক্রবার থেকে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করার সিদ্ধান্ত হয় পৌর পরিষদের সভায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষতি মোকাবেলায় কাজ করার উপর গুরুত্বারূপ করা হয় সভা থেকে। সে ক্ষেত্রে পৌরসভার স্ব-স্ব ওয়ার্ডের নারী-পুরুষ কাউন্সিলরগণও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে জনগনের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয় পৌর পরিষদ। দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বক্ষনিক খবরাখবর নেয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন মেয়র নিজেই।
এসময় প্যানেল মেয়র-৩ শাহেনা আক্তার পাখি, কাউন্সিলর আক্তার কামাল আজাদ, মিজানুর রহমান, মো: দিদারুল ইসলাম রুবেল, সাহাব উদ্দিন সিকদার, রাজ বিহারী দাশ, সালাউদ্দিন সেতু, সংরক্ষিত আসন কাউন্সিলর ইয়াছমিন আক্তার, পৌরসভার সচিব রাছেল চৌধুরী, মেয়র পিএ রূপনাথ চৌধুরী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মেয়র মুজিবুর রহমান ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জরুরী ভিত্তিতে ১০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক, জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা, ৫৩৮ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত, ৮৯টি মেডিকেল টিম, বিদ্যুৎ বিভাগের ৬টি ইউনিট প্রস্তুত এবং পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। তবে এখনো পর্যন্ত ঘুর্ণিঝড় ফণী’র আগাম কোন প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। যদিও বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ উপকূলের কাছাকাছি অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Posted ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ মে ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta