এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(২৭ নভম্বের) :: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী গ্রিনলাইন পরিবহনের ধাক্কায় হিউম্যান হলার জিটু গাড়ির ৮ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলার মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গেইটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে চিরিঙ্গামুখী একটি হিউম্যান হলার জিটু গাড়ি মহাসড়ের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গেইটে যাত্রী উঠানামা করতে দাঁড়ায়। এসময় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা একটি গ্রিন লাইন পরিবহন বর্ণিত স্থানে একটি ছাগল বাঁচাতে গিয়ে মহাসড়ক কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা জিটু গাড়ির পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে যাত্রীবাহী জিটু গাড়িটির পাশে দাঁড়ানো একটি মোটরসাইকেল সহ নিয়ে পার্শবর্তী খাদে পড়ে যায়। এসময় গুরুতর আহত হয় জিটু গাড়িতে থাকা মহিলাসহ আট যাত্রী। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের এএসআই ছফি উল্লাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ভার্তি করে।
আহতরা হলেন লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ফুঁটেরঝিরি এলাকার কামাল হোসেনের পুত্র তানজিদ (১২), ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং দরগাহর গেইট এলাকার ইলিয়াছের পুত্র ওমর হামজা (১৮), একই ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের শামসুদ্দিনের পুত্র আবদুল মালেক (২২), চা-বাগান এলাকার সুবল হরি দে’র পুত্র মালুমঘাট বাজারের চিকিৎসক সুজন দে (৩৬), কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন ইসলামপুর ইউনিয়নের মৃত মমতাজের স্ত্রী তফুরা বেগম (৪৮), খুটাখালীর মেধা কচ্ছপিয়া এলাকার কবির আহমদের পুত্র জামাল উদ্দিন (৫০), জিটু গাড়ির চালক সদর উপজেলার নতুন অফিস জুমনগর এলাকার আবদুল আজিজের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (২০) ও একই এলাকার কবির আহমদের পুত্র মোবারক হোসেন (১৩)।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলমগির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি ফাঁড়িতে জব্দ রাখা হয়েছে।#
Posted ৩:৩১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta