এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(২০ নভেম্বর) :: চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাড়ি স্লুইচ গেইটটি কয়েকবছর ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে স্লইচ গেইটের পাটাতন গুলো জং ধরে বিকল হয়ে যাওয়ার কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে বিকল হওয়া এসব পাটাতন উঠানামা না করার কারনে উজানের সামুদ্রিক জোয়ারের লবণ পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে উপজেলার উপকুলীয় অঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নে লবণ পানির কারনে চলতি মৌসুমে হাজার হাজার একর জমিতে চাষাবাদ ব্যহৃতের আশঙ্কা করছেন জনপ্রতিনিধিরা।
সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল বলেন, প্রায় ২০বছর আগে নির্মাণ করা চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের চোয়ারফাঁিড়র স্লুইচ গেইটটি বর্তমানে অকেজো হয়ে পড়েছে। বিশেষকরে উন্মুর্থ থাকার ফলে রোদে শুকিয়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে বেশিরভাগ পাটাতন ইতোমধ্যে জং ধরে নষ্ঠ হয়ে হয়ে গেছে।
আগে পানি চলাচল বন্ধ করতে স্লুইচের কয়েকটি পাটাতন উঠানামা করা গেলেও সম্প্রতি সময়ে এসব পাটাতন কাজ করছেনা। ফলে গত দুই সপ্তাহ ধরে স্লুইচ গেইট হয়ে উজানের সামুদ্রিক লবণ পানি অনায়সে ঢুকে পড়ছে নীচের লোকালয়ে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, লোকালয়ে লবণ পানি ঢুকে পড়ার কারনে বর্তমানে সাহারবিল ইউনিয়ন ছাড়াও উপজেলার উপকুলীয় অঞ্চলের পুর্ববড় ভেওলা, বিএমচর, পশ্চিম বড়ভেওলাসহ অন্তত চারটি ইউনিয়নে সবজি ও আসন্ন বোরো চাষাবাদ ব্যহৃত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এতে কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি জনস্বার্থে হওয়ায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদের সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদের সভার সিদ্বান্তের প্রেক্ষিতে সর্বশেষ গতকাল ২০ নভেম্বর দুপুরে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। লবণ পানি চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্লুইচ গেইট এলাকা থেকে তাৎক্ষনিক মুঠোফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করেন ইউএনও।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম বলেন, চোয়ারফাঁড়ির স্লুইচ গেইটটি বিকল ও লবন পানি ঢুকে পড়ার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল উপজেলা পরিষদের সভায় জানালে আমি তাৎক্ষনিক এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করি। নির্বাহী প্রকৌশলী সহসা স্লুইচ গেইট গুলো মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সবিবুর রহমান বলেন, চকরিয়া উপজেলার চোয়ারফাঁড়ি স্লইচ গেইটটি বিকল ও পাটাতন গুলো উঠানামা না করার কারনে লবণ পানি ঢুকছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে পাউবোর যান্ত্রিক বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করে স্লইচ গেইটের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করেছেন।
তিনি বলেন, পাউবো’র কক্সবাজার জোনে ৩৪টি স্লইচ গেইট মেরামতকল্পে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে বেশির ভাগ স্লুইচ গেইটের অবস্থান চকরিয়া উপজেলায়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে চকরিয়া উপজেলার সব ক্ষতিগ্রস্থ স্লইচ মেরামত কাজ শুরু করা হবে।
Posted ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta