মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া(২৩ জানুয়ারি) :: কক্সবাজারের চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের ৩৪- তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে গীতাপাঠ প্রতিযোগীতা, ধর্মসভা ও ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানামযঞ্জ অনুষ্টানের আয়োজন করেছে চিরিংগা হিন্দুপাড়া যুবকল্যান সমিতি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে চিরিংগা হিন্দুপাড়া কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় হরি মন্দির প্রাঙ্গনে মন্দিরের ধ্বর্জা উত্তোলন এবং সাতশত তুলশী দানের মধ্য দিয়ে চারদিন ব্যাপী অনুষ্টান শুরু আরম্ভ হবে।
চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও যুবকল্যান সমিতির সভাপতি ধনরঞ্জন দাশ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও হরিমন্দিরের প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে চিরিংগা যুব কল্যান সমিতি চারদিন ব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্টানের আয়োজন করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে সাতশত তুলশীদান, গীতাপাঠ প্রতিযোগীতা এবং রাতে ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্টিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম।
সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হবে সাতশত তুলশীদান। এদিন সন্ধ্যায় মহানামযঞ্জের শুভ অধিবাস এবং রাত ৮টায় ধর্মীয় আলোচনাসভা অনুষ্টিত হবে। অধিবাস কীর্তন করবেন শ্রীমৎ প্রিয়ব্রত গোস্বামী (তনু) এবং তাকে সহযোগিতা করবেন অধ্যাপক কৃষ্ণ দে।
এদিন রাতে ধর্মীয় আলোচনা করবেন প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ভারতে চব্বিশ পরগনার শংকর বেদান্ত মঠ ও মিশনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি শ্রী শ্রী ১০৮ স্বামী বিবোধানন্দ সরস্বতী মহারাজ এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শ্রী চিন্তাহারী সাধনপীঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী মহানন্দপুরী মহারাজ। অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করবেন মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল দে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী, সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান, হরি মন্দির উন্নয়ন কমিটির উপদেষ্টা হারাধন দাশসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
শনিবার ভোররাত থেকে শুরু হবে ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানামযঞ্জ। এতে নামসুধা পরিবেশন করবেন-শ্রী কানুগোপাল সম্প্রদায়, শ্রী গুরু অচ্যুতানন্দ সম্প্রদায়, শ্রী গোপালজিও সম্প্রদায়, শ্রী ভবপাগলা সম্প্রদায় এবং শ্রী গৌরাঙ্গ সম্প্রদায়। সোমবার ভোরে পূর্ণাহুতি ও বৈষ্ণব বিদায়ের মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটবে।
এদিকে, চারদিন ব্যাপী মহোৎসবকে কেন্দ্র করে হরি মন্দিরের আশপাশে মেলা বসতে শুরু করেছে। মহোৎসবকে ঘিরে সনাতন সম্প্রদায়ের ভক্তদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
Posted ৫:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta