কক্সবাংলা ডটকম(৩ ফেব্রুয়ারি) :: চীনের শেয়ারবাজারের বেঞ্চমার্ক সূচক থেকে বিনিয়োগকারীরা ৪২ হাজার কোটি ডলার তুলে নিয়েছেন। বিক্রি করে দিয়েছেন ইউয়ান এবং করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভীতি থেকে বর্জন করেছেন পণ্যদ্রব্য। এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে দেশটির অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আর্থিক ব্যবস্থায় ১৭ হাজার ৩৮১ কোটি ডলার ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দ্য পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি) বাজারে এ পরিমাণ অর্থ ছেড়েছে রিভার্স বন্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্টের ভিত্তিতে। একই সঙ্গে ব্যাংকটি ১০টি ভিত্তি পয়েন্টের সাপেক্ষে স্বল্পমেয়াদি তহবিল সরবরাহে সুদহারও কমিয়েছে। খবর রয়টার্স ও গার্ডিয়ান।
৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যাহ্ন পর্যন্ত দ্য বেঞ্চমার্ক সাংহাই কম্পোজিট ইনডেস্কে ৮ শতাংশ পতন হয়। একই সঙ্গে চলতি বছরের মধ্যে গতকাল ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মান সবচেয়ে কম ছিল। ইউয়ানের মানের পতন হয় প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ। মূলত চীনে নতুন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
আইএনজির চীনের অর্থনীতিবিদ আউরিশ প্যাং বলেন, এ অবস্থা আরো বেশ কিছুদিন চলবে। কারণ কারখানার শ্রমিকরা আদৌ কাজে ফিরবেন কিনা, ফিরলেও কতজন ফিরবেন, তা বলা যাচ্ছে না। ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি করপোরেট আয়ের মুখ দেখেনি। একই সঙ্গে এ সময়ে রেস্তোরাঁ ও খুচরা বাজারে বিক্রিও খুব কম হয়েছে।
সাংহাই ও শেনজেন শেয়ারবাজারে যে গতকাল অস্থির অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে তা আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে উৎসবের ছুটির কারণে বন্ধ ছিল শেয়ারবাজার দুটি। আর এ সময়ের মধ্যেই বাড়তে থাকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, যা দেশটির সার্বিক অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ে হংকংয়ের শেয়ারবাজারেও।
শেয়ারবাজারের এ অস্থির অবস্থার মধ্যে চীনের আর্থিক বাজারে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১৭ হাজার ৩৮১ কোটি ডলার) ছেড়েছে পিবিওসি। ‘রিজার্ভ রেপো’ স্কিমের আওতায় ব্যাংকটি এ পরিমাণ অর্থ বাজারে ছেড়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো, নগদ অর্থ খুঁজছে এমন বিনিয়োগকারীদের অর্থের জোগান দেয়া, যাতে নববর্ষের ছুটি থেকে ফিরে এসে আর্থিক সংকটের কারণে তাদের ব্যবসা বিক্রি করে দিতে না হয়।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ পদক্ষেপের বিষয়ে সিঙ্গাপুরের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ম্যাক্রো স্ট্র্যাটেজিস্ট মায়াংক মিশ্র বলেন, চীনা সরকার দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এ সহায়ক উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা বাজারের সুস্থিরতা ধরে রাখতে উদগ্রীব। তিনি আরো বলেন, চীন সম্ভবত পরিস্থিতি বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছে। বিশেষ করে যত দ্রুত রেপো রেট কর্তন করা হয়েছে, অনেকেই তা আশা করেননি। মূলত এর মধ্য দিয়ে চীন সরকার অর্থনৈতিক বিষয়ে তাদের সচেতনতার বিষয়ে সবাইকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছিল।
এদিকে করোনাভাইরাসের উত্পত্তিস্থল চীনের উহানসহ বেশকিছু শহর বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবেও চীন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এ ভাইরাসের প্রভাব ২০০৩ সালে ছড়িয়ে পড়া সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রমের (সার্স) থেকেও মারাত্মক হবে।
ওভারসি-চাইনিজ ব্যাংকিং করপোরেশনে গ্রেটার চায়না রিসার্চের প্রধান টমি শি বলেন, অধিকাংশ বিশ্লেষকই বলছেন যে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না। কিন্তু এখানে একটি বিষয়ে আমি নিশ্চিত আর সেটি হলো, শিগগিরই চীনের অর্থনীতি মারাত্মক সংকটে পড়তে যাচ্ছে, যার প্রভাব সার্সের সময়ের থেকে অনেক বেশি হবে। সার্বিকভাবে চীনের উৎপাদন খাত ও শিল্প বেশ হুমকির মধ্যে রয়েছে। আর এ বিষয়ে আমার বিশ্বাস দিন দিন বাড়ছেই।
চীনের অর্থনীতি কতটা ঝুঁকিতে?
করোনাভাইরাসের আর্থিক আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীনের হুবেই প্রদেশ। পুরো প্রদেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ এখন অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। খাদ্যবাহী ট্রাক ও চিকিৎসাসামগ্রী ছাড়া আর কিছুই এখন ওই এলাকায় ঢুকতে পারছে না। অঞ্চলটির বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে চালু আছে কেবল হাসপাতাল সেবা ও ভিডিওস্ট্রিমিং। বাকি সব আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। অথচ চীনের জিডিপির সাড়ে ৪ শতাংশ আসে হুবেই থেকে। ফলে হুবেই স্থবির থাকার অর্থ হলো চীনের সার্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ কমে যেতে পারে। অথচ করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের আগে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ।
ওদিকে উহান এলাকাটি ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অটোমোবাইল বা গাড়ি নির্মাণশিল্প। নিসান, হোন্ডা ও জেনারেল মোটরসের কারখানা আছে উহানে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এসব কারখানা বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের অংশ হিসেবে উহানে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এর প্রভাব পড়বে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে।
করোনাভাইরাস এমন সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যখন চীনে চলে এসেছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার সময়। নতুন রোগের কারণে এই উৎসব ঘিরে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত বছর এই সময়টায় চীনের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার তাতে ধস নামতে পারে। আবার নতুন বছরের এই ছুটির সময়টাতেই চীনের সিনেমাশিল্প সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে। পুরো বছরের মোট আয়ের ৯ শতাংশ গত বছরের এই সময়টায় আয় করেছিল চীনের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু এবার একই সময়ে চীনের প্রায় ১১ হাজার সিনেমা হল করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কমে গেছে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের পরিমাণও। করোনাভাইরাসের কারণে চীনের অনেক নাগরিকই দেশের ভেতরে ঘোরাঘুরি বাতিল করে দিচ্ছে।
শুধু হুবেই নয়, সাংহাই ও গুয়াংডং-এর মতো অন্যান্য প্রদেশেও করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ভর করেছে। নতুন বছর উপলক্ষে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানিকে কারখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স বলছে, এভাবে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কারখানা বন্ধ থাকায় চীনের প্রবৃদ্ধির হার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে স্টারবাকস পুরো চীনে ছড়িয়ে থাকা তাদের ৪ হাজার ২৯২টি ক্যাফের প্রায় অর্ধেক বন্ধ করে দিয়েছে। সাংহাইতে নিজেদের রিসোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে ডিজনি। নতুন বছরের সপ্তাহব্যাপী ছুটির পর চীনের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের চাকায় গতি আসতে এমনিতেই বেশ সময় লাগে। এবার তা আরও কঠিন হয়ে যাবে। টেকজায়ান্ট টেনসেন্টের মতো কিছু কোম্পানি তাই এখন কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছে!
বৈশ্বিক অর্থনীতির কী হবে?
২০০৩ সালে পৃথিবীতে আতঙ্ক তৈরি করেছিল সার্স। চীন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল সার্স। ওই রোগে ৮ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, মারা গিয়েছিল ৭৭৪ জন। সেই সময়ে বৈশ্বিক জিডিপির ৪ শতাংশ আসত চীন থেকে। আর গত বছর বৈশ্বিক জিডিপিতে চীনের অবদান ছিল ১৬ শতাংশ। সুতরাং সার্সের তুলনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব হবে আরও বিধ্বংসী।
যেহেতু চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক জিডিপিতেও এর প্রভাব পড়বে। কারণ, বিশ্বের মোট উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ আসে চীন থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে চীনে যাওয়া পর্যটকের পরিমাণ মারাত্মক কমে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ চীন বর্তমানে বিশ্বে পর্যটনের অন্যতম বৃহৎ স্থান। একই সঙ্গে বিপদে পড়বে বিভিন্ন এয়ারলাইন কোম্পানিও। কারণ, তাদের দেখা দিতে পারে যাত্রীর আকাল।
ওদিকে চীনের কারখানাগুলো বন্ধ থাকার অর্থ হচ্ছে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন এলোমেলো হয়ে যাওয়া। বর্তমানে বৈশ্বিক ওষুধশিল্পে ব্যবহৃত প্রায় ৮০ শতাংশ উপাদান যায় চীন থেকে। পৃথিবীতে তৈরি প্লাস্টিকের তৈরি ফুলের ৯০ শতাংশ সরবরাহ করে সি চিন পিংয়ের দেশ। আবার ফক্সকনের মতে, চীনা কোম্পানিই তৈরি করে অ্যাপলের বিখ্যাত আইফোন। ফলে সব ক্ষেত্রেই টানাপোড়েন তৈরির শঙ্কা তৈরি হতে পারে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে ফক্সকনের শেয়ারের দাম কমে গেছে ১০ শতাংশ হারে। আর নতুন রোগ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতন হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, একটি রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় চিকিৎসা খাতে। সুতরাং এই খাতেও চীনসহ বিভিন্ন দেশের ব্যয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
এসব বিবেচনায় নিয়ে অক্সফোর্ড ইকোনমিকস নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সত্যি হলে এটিই হবে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর সর্বনিম্ন বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি।
মুক্তি কিসে?
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের পর থেকেই অনেক পশ্চিমা কোম্পানি চীনের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই কাজে খুব একটা সফলতা আসেনি। করোনাভাইরাসের কারণে এবার বড় বড় বিনিয়োগকারীরা আবার সেই চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে চীন ও বিশ্বের অর্থনীতি যে ধাক্কা খাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সার্স মহামারির অভিজ্ঞতা আমলে নিলে বলতে হয়, এ ধরনের সংকট কাটিয়ে ওঠার পর পরই চীনা অর্থনীতিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কিন্তু এই আশাবাদ মূলত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো ও তা কার্যকর প্রতিরোধের ওপর নির্ভরশীল। সেই কাজ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, সেটিই এখন দেখার। করোনাভাইরাসের দাপট যত দিন চলবে, তত দিন তাই অর্থনীতির চাকাও বেশ মন্থরগতিতে চলবে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই ভাইরাসের কারণে শুক্রবার জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির পর যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, বিগত দুই সপ্তাহে যেসব বিদেশি চীন ভ্রমণ করেছেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেবে না দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং বলেন, মার্কিন এই পদক্ষেপ শুধু আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে।
সোমবার এক নিউজ ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ভাইরাস মোকাবিলায় সহযোগিতার পরিবর্তে তারা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রথম দেশ হিসেবে চীনা পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ দূতাবাস থেকে আংশিকভাবে কর্মী ফিরিয়ে নেয়ার কাজটিও করেছে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই।
চুনিয়াং বলেন, ‘এটি স্পষ্ট, যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক উন্নত দেশ মহামারি এই ভাইরাস প্রতিরোধে বেশ ভালো ক্ষমতা রাখলেও তারা উল্টো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাবিস্নউএইও) সুপারিশের বিপরীতে গিয়ে অতিরিক্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করার মতো নেতিবাচক কাজগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
সীমান্ত বন্ধের দাবিতে হংকংয়ে হাসপাতাল কর্মীদের ধর্মঘট
এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেছেন হংকংয়ের বিভিন্ন হাসপাতালের শত শত কর্মী। এরই মধ্যে আন্তঃসীমান্ত ট্রেন ও ফেরি সার্ভিস বন্ধ করেছে হংকং। স্বাস্থ্য কর্মীদের দাবি, সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হোক। চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বাস। অঞ্চলটিতে এখন পর্যন্ত ১৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট, সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান ও নিউইয়র্ক টাইমস
Posted ৩:৩০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta