চোটের জন্য দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপের দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামেননি৷ আর্জেন্তিনার স্কোয়াডে থাকলেও ইতালি ও স্পেনের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে সময় কাটিয়েছেন মেসি৷ অবশেষে চোট সারিয়ে মাঠে ফিরলেন এলএম টেন৷ প্রত্যাশিতভাবেই রোমার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামলেন বার্সেলোনা তারকা৷

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মুখোমুখি লড়াইয়ে বার্সেলোনা ও রোমা সমানে সমানে টক্কর দিলেও ন্যু ক্যাম্পে বেশ কিছুটা এগিয়ে ছিল কাতালান দলটি৷ এর আগে চার বারের হেড টু হেড রেকর্ডে বার্সা ও রোমা জিতেছে একটি করে ম্যাচ৷ ড্র হয়েছে দু’বার৷ তবে শেষ ন’টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে অপরাজিত ছিল বার্সেলোনা৷ এই ম্যাচের আগে ন্যু ক্যাম্পে শেষ ২৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতে জয় তুলে নিয়েছিল বার্সা৷ ড্র করেছে বাকি দু’টি ম্যাচে৷ সুতরাং ঘরের মাঠে শেষ ২৫টি ইউরোপীয়ান ম্যাচে অপরাজিত ছিল মেসিরা৷ সেই রেকর্ডটা আরও একটু বাড়িয়ে নেয় বার্সেলোনা৷

অন্যদিকে গত এক দশকে এই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রোমা৷ শেষবার ন্যু ক্যাম্পে এসে ১-৬ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল তাদের৷ ইতিহাস নিতান্তই রোমার বিপক্ষে৷ নতুন আঙ্গিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আত্মপ্রকাশের পর কখনই সেমিফাইনালে ওঠেনি তারা৷ ছবিটা বদলানোর সম্ভাবনা এবারও ক্ষীণ৷

চেলসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগের প্রি-কোয়ার্টারজয়ী দলে একটি মাত্র পরিবর্তন করে রোমা ম্যাচ খেলতে নামে বার্সেলোনা৷ দেম্বেলের জায়গায় দলে ঢোকেন সেমেদো৷

চোট সারিয়ে দলে ফিরলেও গোল পেলেন না মেসি৷ যদিও তাতে রোমার বিরুদ্ধে হোম ম্যাচে বার্সেলোনার জয় তুলে নিতে কোনও অসুবিধাই হয়নি৷ স্প্যানিশ জায়ান্টদের কাজ এক্ষেত্রে সহজ করে দেন রোমা ফুটবলাররাই৷ ৩৮ মিনিট পর্যন্ত বার্সাকে আটকে রাখার পর দু’টি আত্মঘাতী গোল করে রোমা৷ সম্বিত ফিরে পাওয়ার আগেই গোলের বোঝা বাড়িয়ে দেন পিকে-সুয়ারেজ৷ শেষ মুহূর্তে স্বান্তনার একটি অ্যাওয়ে গোল নিয়েই ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে হয় ইউসোবিও ডি ফ্রান্সিসকোর দলকে৷

নিজেদের ডেরায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে শেষ চারের দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখেন ভালভারদেরা৷

ম্যাচের ৩৮ মিননটে রোমা বক্সে মেসির দিকে বল বাডা়ন ইনিয়েস্তা৷ ডি’রোসি ডাইভ মেরে বাধা আটকানোর চেষ্টায় নিজেদের জালেই জড়িয়ে বসেন৷ প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি৷ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আরও একটি আত্মঘাতী গোল করেন রোমার মানোলাস৷ যদিও এক্ষেত্রে বল নিজেদের জালে জড়ানোর ক্ষেত্রে তার খুব একটা দোষ নেই৷ স্যামুয়েলের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসার সময় মানোলাসের গায়ে লেগে তা গোলে ঢুকে যায়৷

৫৯ মিনিটে মেসির বাড়ানো বলে শট নেন সুয়ারেজ৷ রোমা গোলরক্ষক বল আটকালেও পিকের পায়ে গিয়ে পৌঁছয় তা৷ গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি৷ ৮০ মিনিটে এডিন জেকোর গোলে ব্যবধান কমায় রোমা৷ ৮৭ মিনিটে সুয়ারেজ বার্সার হয়ে চতুর্থ গোল করেন৷

ক’দিন আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০০ গোল করার জন্য ম্যাচের আগে মেসির হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয়৷