কক্সবাংলা ডটকম :: লা লিগায় দুঃসময় যাচ্ছে, তিন দিন আগে মিলেছে এল ক্ল্যাসিকোতে হারের ক্ষত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঠিক উল্টো, ছুটছে সাফল্য রথ।
লিওনেল মেসি ও উসমানে ডেম্বেলের গোলে জুভেন্টাসের মাঠ থেকে দারুণ জয় সঙ্গী করে ইউরোপ সেরার মঞ্চে নতুন মৌসুমে টানা সাফল্য ধরে রেখেছে রোনাল্ড কোম্যানের দল।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে জুভেন্টাসের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। প্রথম ম্যাচে ফেরেন্সভারোসকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল মেসিরা।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না থাকার ম্যাচে জুভদের উপর শুরু থেকেই আক্রমণ ছড়ি ঘোরানো বার্সেলোনা ম্যাচের ১৪ মিনিটে লিড নেয়। মেসির বাড়ানো বলে ডেম্বেলে গোল আনেন।
পরে একাধিক সুযোগ নষ্ট করে অতিথিরা। গ্রিজম্যান, মেসি, ডেম্বেলে সুযোগের পর সুযোগ তৈরি করে হাতছাড়া করতে থাকেন। ১-০তেই আসে মধ্যবিরতি।
বিরতির আগে আলভারো মোরাতার একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও একবার একই ভাগ্য হয় এ মৌসুমেই ধারে জুভেন্টাসে খেলতে যাওয়া মোরাতার।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে একজন কমে হয়ে যায় স্বাগতিকদের, চলতি মোসুমে বার্সায় খেলতে আসা মিরালেম পিয়ানিচকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে লাল হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মেইথ ডেমিরালকে।
শেষে যোগ করা সময়ে আসে বার্সার দ্বিতীয় গোল। ফাতিকে নিজেদের বস্কে ফেলে দিয়ে পেনাল্টি উপহার দেয় জুভেন্টাস, মেসি জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি।
হারের স্বাদ পাওয়া বাসাকসেহিরের নামের পাশে এখনও কোনো পয়েন্ট নেই।
পিএসজির জয়ে মিশে থাকল অস্বস্তি
প্রথমার্ধে আক্রমণে দিশাহীন ছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তার উপর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দলটির সেরা তারকা নেইমার। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের খুঁজে পায় সফরকারীরা। মইসে কিনের জোড়া গোলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জয় তুলে নেয় ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে তুরস্কের ক্লাব ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ম্যাচের ৬৪ ও ৭৯তম মিনিটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার কিন। কিন্তু স্বস্তির জয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকল অস্বস্তিও। ম্যাচের ২৬তম চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারকে। তার আগে পায়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
১৬তম মিনিটে স্বাগতিক স্ট্রাইকার এদিন ভিসকার ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। নয় মিনিট পর রাফায়েলের শট রুখে দেন কেইলর নাভাস। ৩৭তম আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জির ক্রসে কিলিয়ান এমবাপের শট খুঁজে পায়নি জাল।
বিরতির পরপরই গোল পেতে পারত পিএসজি। ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপের সঙ্গে বল নেওয়া-দেওয়া করে খুব কাছ থেকে উড়িয়ে মারেন নেইমারের বদলি পাবলো সারাবিয়া। ৫৭তম মিনিটে ভিসকার শট ফিরিয়ে অতিথিদের জাল অক্ষত রাখেন নাভাস।
৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় প্যারিসিয়ানরা। এমবাপের কর্নারে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন কিন। সাত মিনিট পর দেনিজ তুরুচের ভলি নাভাস দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে রক্ষা করলে সমতায় ফেরা হয়নি বাসাকসেহিরের।
পরের মিনিটে পাল্টা-আক্রমণে ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপে। আনহেল দি মারিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে বারের উপর দিয়ে মারেন তিনি। ৭৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিন। এমবাপের পাসে বল পেয়ে শরীর ঘুরিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
আগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হারা পিএসজির পয়েন্ট দুই ম্যাচে ৩। টানা দুই হারের স্বাদ পাওয়া বাসাকসেহিরের নামের পাশে এখনও কোনো পয়েন্ট নেই।
Posted ১:০৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta