কক্সবাংলা ডটকম :: পিএসজি, চেলসির পর ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ। প্রত্যাশিতভাবেই চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালে উঠল এই দুই দল। বুধবার রাতে জার্মানিতে ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হয় সিটি। ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতে সুবিধাজনক জায়গায় ছিল পেপ গোয়ার্দিওয়ালার দল।
কিন্তু প্রথমার্ধের পনেরো মিনিটের মাথায় মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের গোল সমস্ত সমীকরণ পাল্টে দেয়। অ্যাওয়ে গোল হাতে থাকায় পরের রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড।
দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ইংল্যান্ডের ক্লাবটি আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে থাকে। ডে-ব্রুইন, মাহারেজ আর ফিল ফডেনের ত্রিফলা জুটি বারবার গোলের সুযোগ তৈরি করে। সঙ্গত দেয় মাঝমাঠ থেকে বার্নাডো সিলভার চতুর উপস্থিতি। দুই হাফ মিলিয়ে বল একাধিকবার বারে আঘাত করলেও জালে জড়ায়নি। এদিকে মূল্যবান গোল পেয়ে যাওয়ায় ডর্টমুন্ড রক্ষণাত্মক নীতি বজায় রাখে। ডিফেন্স নিশ্ছিদ্র রাখতে কখনও পাঁচ, কখনও ছ’জন মিলে গোলের দরজা বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু আখেরে নিজেদেরই ভুলের মাশুল গুনতে হয় তাদের। বাঁদিক থেকে ভেসে আসা ক্রশ ঠিকমতো অনুমান করতে না পেরে হ্যান্ডবল করে ফেলেন ডর্টমুন্ডের মিডফিল্ডার এমরে চ্যান। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। এরপর পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান মাহারেজ। কিন্তু পরের রাউন্ডে যাওয়া পুরোপুরি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ছিল আরেকটি গোল। ৭৫ মিনিটের মাথায় ফিল ফোডেনের ‘ম্যাজিকে’ যা সম্ভব হয়। ড্রিবল করে বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে ফডেনের আগুনে শট সিটিকে ২-১-এ এগিয়ে দেয়।
এদিন বিশেষজ্ঞদের অনেকে ধারণা করেছিলেন আর্লিং হাল্যান্ড ডর্টমুন্ডের পরিত্রাতা হতে চলেছেন। নরওয়ের এই প্রতিভাবান স্ট্রাইকার পরের মরশুমে সিটিতে পা রাখবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। গতকালের ম্যাচে কিন্তু হাল্যান্ড প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।
অন্যদিকে বুধবার রাতে অ্যানফিল্ডে রিয়াল-লিভারপুলের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। প্রথম লেগে ৩-১-এ জিতে থাকার সুবাদে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল জিনেদিন জিদানের দল। যদিও ম্যাচের রাশ শুরু থেকেই নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল লিভারপুল।
চোটের কারণে একাধিক খেলোয়াড় দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে। বিশেষ করে রক্ষণের বেহাল দশা লিভারপুলে। ভ্যান ডাইক, জো গোমেজ, জো মাটিপ, ফ্যাবিনহো না থাকায় অনভিজ্ঞ নাথানিয়েল ফিলিপ্স-ওজান কাবাক জুটিকে খেলাতে বাধ্য হচ্ছেন যুরগেন ক্লপ।
এদিন অবশ্য ডিফেন্স নয়। লিভারপুলের কপাল পুড়ল স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায়। প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ পান মহম্মদ সালাহ। কিন্তু গোলকিপারকে একা পেয়েও দলকে এগিয়ে দিতে পারেননি তিনি।
একইভাবে মিলনার, মানের শটও তিন কাঠি ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি নজর কেড়েছে রিয়ালের গোলরক্ষক টিবো কুর্তোয়ার দুর্দান্ত কিছু সেভ। কখনও শরীরকে শুন্যে ভাসিয়ে, কখনও বা পা দিয়ে একের পর এক গোলমুখী শট আটকে রিয়ালের পরিত্রাতা হয়ে ওঠেন বেলজিয়ামের তরুণ রক্ষক। আপাতত সেমিফাইনালের নির্ঘণ্ট তৈরি। দু’লেগের ম্যাচ যথাক্রমে ২৭ এপ্রিল ও ৪ মে। প্রথম সেমিফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি চেলসি। দ্বিতীয় ম্যাচে সিটির লড়াই পিএসজির বিরুদ্ধে।
Posted ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta