মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করছে বিএনপি! ৭ মার্চ ও ১০ এপ্রিল ‘মুজিবনগর পালনের পরিকল্পনা

শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১
260 ভিউ
জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করছে বিএনপি! ৭ মার্চ ও ১০ এপ্রিল ‘মুজিবনগর পালনের পরিকল্পনা

কক্সবাংলা ডটকম(৬ মার্চ) :: দলের ভেতর-বাইরে চাপের মুখে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগের চাপ থাকলেও আমলে নেয়নি দলটি।

একযুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি এখন কিছুটা আত্মোপলব্ধি করছে বলে জানিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারক মহল। তারই অংশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না জামায়াতকে।

অথচ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোটের শরিকসহ বিকল্পধারাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যজোট’ গঠনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে জামায়াতকে ত্যাগ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। জোট গঠনের খসড়া রূপরেখাও তৈরির কাজ চলছে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ‘ইতিবাচক’ রাজনীতির অংশ হিসেবে এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের পাশাপাশি আগামী ১০ এপ্রিল ‘মুজিবনগর সরকার গঠনে’র দিনসহ বছরব্যাপী সব ঐতিহাসিক দিনকে উদযাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিএনপি।

ইতোমধ্যে ২ মার্চ আ স ম আবদুর রবের পতাকা উত্তোলন দিবস এবং ৩ মার্চ শাজাহান সিরাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের দিনটিকে উদযাপনে কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচিতে জেএসডির সভাপতি আ স ম রবকেও আমন্ত্রণ করেছে বিএনপি।

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াতের ইস্যুসহ সব জোট নিয়েই বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ে পুনর্মূল্যায়ন চলছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দলের হাইকমান্ড জামায়াতকে জোটে রাখা না রাখার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত ২০ দলীয় জোটের শরিক হলেও বিএনপির সব দলীয় কর্মসূচিতে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। জোটের শরিক দলগুলো যার যার মতো করে দলীয় কর্মসূচি পালন করে থাকে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃহত্তর ঐক্যজোট গঠন নিয়েও আলোচনা চলছে।

এ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যকে ওই জোটের ‘রূপরেখা’র খসড়া তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে তিনি ওই খসড়া রূপরেখা তৈরি করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিচ্ছেন। ওই জোটে যেসব দলকে টানতে চাচ্ছে, তারা জামায়াত ইস্যুতে কৌশলী ভূমিকা পরিহার করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের শর্ত দিয়েছে। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাম ও অন্যান্য বড় ইসলামী দল।

সূত্র জানিয়েছে, ওই দলগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, বিএনপি জামায়াত ইস্যুতে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে চায়। বিগত ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময়ও কৌশলী ভূমিকা নিয়েছিল। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের না জানিয়ে নিবন্ধনহীন জামায়াতকে ঐক্যফ্রন্টের বাইরে রাখলেও শেষ মুহূর্তে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছিল, যা ঐক্যফ্রন্টসহ বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতাকর্মীরা বিষয়টি ভালোভাবে নেননি।

নাম প্রকাশ না করে বৃহত্তর জোটে আসতে আগ্রহী কয়েক নেতা জানান, বিএনপিকে এবার বৃহত্তর ঐক্যজোট গড়তে হলে অবশ্যই জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে। জামায়াতকে সঙ্গে রেখে বিএনপির রাজনৈতিক গুণগত মানোন্নয়ন হবে না। তারা বিষয়টি এখনই নিষ্পত্তি করতে চান। বিএনপিকে এবার আরও কৌশলী ভূমিকা নিলে ক্ষমতার বাইরে থাকার মেয়াদ আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। একই সঙ্গে তারা স্বৈরাচার এরশাদ সরকারবিরোধী তিন জোটের রূপরেখা বা প্রতিশ্রুতি ছিল, তা বাস্তবায়ন না করার বিষয়টিও সামনে স্মরণ করে দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, জামায়াতকে জোট থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এখন বৃহত্তর ঐক্য গঠনের কাজ চলছে। ওই প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে জামায়াতকে বাদ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বোঝানো হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাদের। তারা আশা করেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।

দলীয় সূত্র আরও জানায়, শুধু দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি নয়, প্রতিবেশী ভারতসহ পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলোর পক্ষ থেকেও জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে চাপ অব্যাহত রয়েছে। ২০১২ সালে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাত দিনের ভারত সফরের সময়ও জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে অনুরোধ করেছিল দেশটি। তখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান শিব শঙ্কর মেননের একান্ত বৈঠকে জামায়াত ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন।

বিশেষ করে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাশ্মীরে বিভিন্ন হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন। ওই সময় খালেদা জিয়া অভিযোগের প্রমাণ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রমাণিত হলে জামায়াতকে জোটে রাখার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, দেশে আসার পর ছয় মাসের মাথায় জামায়াতের ডাকা হরতালের কারণে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ বাতিল করেন খালেদা জিয়া। জামায়াতপন্থি বিএনপি নেতাদের পরামর্শে খালেদা জিয়ার ওই সিদ্ধান্ত বিএনপির অনেক ‘বড় ভুল’ হয়েছে বলে মনে করেন দলের অনেক শীর্ষ নেতাও। এমনকি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের তৃণমূল নেতাদের মতামত নিয়েছিল বিএনপি। তৃণমূল নেতারাও জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে মত দিয়েছেন। ওই মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলী ভূমিকা নিয়ে জামায়াত ছাড়াই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছিল দলটির হাইকমান্ড।

নাম প্রকাশ না করে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, এখন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিএনপি রাজনৈতিক গুণগতমান উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জামায়াত ইস্যুতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিকে এ বিষয়ে আলোচনা করে প্রস্তাবনা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন। বিএনপির সার্বিক রাজনৈতিক গুণগতমান উন্নয়নের জন্য একজন সদস্যকে একটি প্রস্তাবনা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

ওই নেতা তার প্রস্তাবনায় জামায়াতে ইসলামীকে জোট থেকে বের করে দেওয়ার সুপারিশ করেন। ওই প্রস্তাবের পর সম্প্রতি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অধিকাংশ সদস্য জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে বিএনপির ভবিষ্যৎ মঙ্গল হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তবে স্থায়ী কমিটির দু’জন সদস্য জামায়াতের ভোটব্যাংকের কথা স্মরণ করে জোট থেকে বাদ দিলে সরকারের ফাঁদে পা দেওয়া হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

সূত্র জানিয়েছে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখনও তার মতামত দেননি। এটি বিএনপির কৌশল বলে মনে করেন দলটির জামায়াতবিরোধী নেতারা। মির্জা ফখরুল দলের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পরামর্শের বাইরে মতামত দেবেন না। তা ছাড়া স্থায়ী কমিটির নেতারা যাই বলুন- শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দুই শীর্ষ নেতার মতামতই চূড়ান্ত।

২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই নানা ইস্যুতে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে বিএনপিতে। জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের ফাঁসিতে বিএনপির প্রতিক্রিয়া না দেওয়া, ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনার দায়ভার, খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়ার পরও জামায়াতের কোনো ভূমিকা না রাখাসহ নানা ইস্যুতে দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে। এক যুগের টানাপোড়েনের বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার পর দলের হাইকমান্ড কবে নাগাদ জামায়াত ছাড়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন- তা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে বিএনপির ভেতরে ও বাইরে।

১০ এপ্রিল ‘মুজিবনগর সরকার গঠনে’র দিন ‘দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব করবে :

বিএনপির নীতিনির্ধারক সূত্র জানিয়েছে, নানামুখী চাপ ও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শে ১ মার্চ থেকে বছরব্যাপী বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিনগুলোতেও প্রথমবারের মতো নানা কর্মসূচি দিয়ে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মহাজোটের শরিক দলগুলোকে দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবসেও কর্মসূচি রেখেছে দলটি। আগামী ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের দিনকে দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে বছরব্যাপী অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দিবসগুলো পালন করবে, যা অতীতে কখনও পালন করেননি।

অবশ্য এ বিষয়ে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস ও স্বপ্ন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা। কোন স্বপ্নটি পূরণ হয়েছিল, কোনটি পূরণ হয়নি- তা জানানো। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার প্রধান আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও পূরণ হয়নি। আমাদের এ উদ্যোগে নতুন প্রজন্মের যাতে প্রকৃত ইতিহাস পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।

260 ভিউ

Posted ৪:০৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com