শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি : ফের লোডশেডিং যুগে সারাদেশ !

বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২
138 ভিউ
জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি : ফের লোডশেডিং যুগে সারাদেশ !

কক্সবাংলা ডটকম(৬ জুলাই) :: শতভাগ বিদ্যুতায়নের সাফল্য অর্জন হয়েছে মাত্র কয়েক মাস আগে। দেশজুড়ে বিদ্যুত উৎপাদনের সক্ষমতাও ছাড়িয়েছে যে কোন সময়ের চাইতে বেশি। কখনও কখনও চাহিদার চাইতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বিদ্যুতও উৎপাদন করেছে কেন্দ্রগুলো। কিন্তু এমন পরিস্থিতির পরেও আবার দেশ ডুবছে লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে। গত টানা এক সপ্তাহ জুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন। বিশেষ করে গত দুই দিন রাজধানীসহ প্রায় সব অঞ্চলে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে মানুষজন। এর ব্যাখ্যা হিসেবে বিদ্যুত বিভাগ বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না পেট্রোবাংলা। তাই আপাতত কৃচ্ছ্রতা সাধনের বিকল্প নেই।

তবে পেট্রোবাংলার দাবি বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ পরিমাণ গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। যা একেবারেই সামান্য। এক্ষেত্রে রিজার্ভে হাত না দিয়ে বা তেল দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন না করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে লোডশেডিং করাকে অমানবিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুলাই সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২৭৪০.৬ মেগাওয়াট। এরই প্রেক্ষিতে উৎপাদন হয় ১২২৪০.৬ মেগাওয়াট। এদিন চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের ঘাটতি হয় ৫শ’ মেগাওয়াট। একইভাবে ৩ জুলাই ছিল ১২০৪৬.২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। এর প্রেক্ষিতে উৎপাদন হয় ১১৫৪৬.২ মেগাওয়াট। এদিন ঘাটতি দাঁড়ায় ৫শ’ মেগাওয়াট। এর পরের দিন ৪ জুলাই চাহিদা ছিল ১২৯৪৭.৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ১১৫৪৭.৬ মেগাওয়াট। এদিন ঘাটতির পরিমাণ একলাফে গিয়ে দাঁড়ায় ১৪শ’ মেগাওয়াটে। এই তিন দিন নগরবাসীকে লোডশেডিংয়ের কারণে পোহাতে হয়েছে চরম দুর্ভোগ।

বিদ্যুত বিভাগ বলছে, পরিস্থিতি আরও অন্তত ২ দিন এমনই থাকবে। শুক্রবার থেকে দেশের শিল্প-কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না। তবে এটি স্থায়ী হবে না। ঈদের ছুটির পর আবারও পরিস্থিতি এ রকমই হয়ে যাবে যতদিন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল হচ্ছে না বা সরকারের পক্ষ থেকে তেল দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদনে ভর্তুকি না দেয়া হচ্ছে। অথবা তেলের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। লোডশেডিংই হোক আর তেলের দাম বাড়ানোই হোক জনগণকেই ভুক্তভোগী হতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুত সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুত উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে। কিন্তু পেট্রোবাংলা বলছে ভিন্ন কথা। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জনকণ্ঠকে বলেন, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য মোট চাহিদার ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মধ্যে ২৮২০ বা ২৮২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করেছি। যা মোট চাহিদার চাইতে মাত্র ২০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাপ। মূলত স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম বাড়ার কারণেই আমাদের এ সঙ্কট। তিনি বলেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম অনেক বেশি হওয়ায় আমরা আপাতত এলএনজি কিনতে পারছি না। কিনলে অনেক বেশি লোকসান দিতে হবে।

যতদিন দাম না কমে অথবা দেশীয় উৎপাদন না বাড়ে ততদিন লোড ম্যানেজমেন্ট করেই আমাদের চলতে হবে। আমরা সবাই জানি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির বাজার এখন অস্থির। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের অবস্থা আলাদা নয়। সুতরাং পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে এটি রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয় দাবি করে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। শ্রীকাইলে সম্প্রতি কাজ শুরু করেছি। চলতি বছরের মধ্যে সেখান থেকে গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি। এ ছাড়া এলএনজি আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছর আমরা ৫৬টি কার্গো আমদানি করছি। এ বছরও তাই। এই মাসেও দুটি কার্গো এসেছে। তবে আমাদের সাশ্রয়ী হওয়ার বিকল্প নেই। বিশ্বের সব দেশ এখন জ্বালানি সঙ্কটে পার করছে। তাই আমাদের কৃচ্ছ্রতা সাধনের বিকল্প নেই।
পাওয়ার সেলের তথ্যমতে দেশে বর্তমানে বিদ্যুত উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৫,৫৬৬ মেগাওয়াট। ৪ কোটি ২৯ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুত দিতে সঞ্চালন লাইন রয়েছে ১৩ হাজার ৫৪৪ কিলোমিটার। বিতরণ লাইন রয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার কিলোমিটার।

কৃচ্ছ্র সাধনের জন্য লোডশেডিং একমাত্র উপায় কি না জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের বিদ্যুত উৎপাদনে যে পরিমাণ গ্যাসের প্রয়োজন তার তুলনায় কম পাচ্ছি। আগে যেখানে গড়ে ১৪০০/১৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া পাওয়া যেত সেখানে এখন ১ হাজারের নিচে পাচ্ছি। আপাতত তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো চালিয়ে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এতে খরচ অত্যন্ত বেশি। বিদ্যুতের সাশ্রয়ে আমরা ইতোমধ্যে ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছি। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আমাদের আপাতত সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া সঙ্কট কাটানোর সুযোগ নেই। সারাবিশ্বের মতো আমাদেরও এখন সাশ্রয়ী হতে হবে। যতটা সম্ভব অপচয় বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, একদিকে করোনার একটা অভিঘাত, তার ওপরে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। যার ফলে আজ পুরো বিশ্বেই যেমন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিদ্যুত আমরা সবার ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলাম এবং সবাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত পাচ্ছিল। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুতের উৎপাদনের যে উপকরণগুলো সেগুলোর দাম অত্যধিক বেড়েছে। এ অবস্থায় আমাদের অপচয় বন্ধ না করলে হবে না।

পেট্রোবাংলার এক হিসাব মতে গত ২৯ জুন দেশে গ্যাস সরবরাহ ছিল ৩ হাজার ১৭৪ মিলিয়ন ঘনফুট। তাতে আমদানি করা গ্যাস অর্থাৎ এলএনজি ছিল ৮৫৪ মিলিয়ন ঘনফুট। এরপর থেকে প্রতিদিনই গ্যাস সরবরাহ একটু একটু করে কমানো হয়েছে। গত সোমবার গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ২ হাজার ৮২২ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি ৫০৭ মিলিয়ন ঘনফুট। এদিন দেশে বিদ্যুত উৎপাদনে ৯১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। গত শুক্রবার থেকেই রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় আধাঘণ্টা থেকে দশ মিনিট করে লোডশেডিং হচ্ছিল। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। অনেক এলাকায় দিনে প্রায় তিন চার বার করে লোডশেডিং হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এর মধ্যে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, বগুড়া, নাটোর, নওগা, ঝিনাইদহ্, কুষ্টিয়াসহ কয়েকটি জেলায় লোডশেডিংয়ের তীব্রতা ছিল বেশি। তীব্র গরমে নাজেহাল হয়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু তার পরও মূল রিজার্ভে হাত না দিয়ে বরং সরকারের কাছ থেকে উচ্চ দামে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনতে ভর্তুকি বা তেলের দাম বাড়াতে চায় জ্বালানি বিভাগ। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তও হয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন্ন কোরবানির ঈদের পর পরই জ্বালানির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এক্ষেত্রেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলছেন, এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বের জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা চরমে। তাই বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই।

যদি তাই হয় তাহলে এতদিনের আয় কি হলো এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, গত ৮ বছরে বিপিসি (২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২) নিট লাভ করেছে ৪৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে লাভ করেছে ১ হাজার ২৬৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অথচ গত মাত্র ৫ মাসে তেল বিক্রিতে লোকসান দেয়ায় দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দাম বাড়ানোর এ পরিকল্পনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

বিশ্ববাজারে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের যে দাম বেড়েছে তা সাময়িক। গত ৩ নবেম্বর এগারোশ’ কোটি টাকা লোকসানের হিসাব দেখিয়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে একলাফে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের বাজারে প্রভাব পড়ে। কিন্তু দাম বাড়ানোর ২০ দিনের মধ্যে বিশ্ববাজারে দাম কমে গেলেও দেশে দাম কমানো হয়নি।

যখন বিপিসি হাজার হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে তখনও তো দাম কমানো হয়নি। এখন দাম না বাড়িয়ে সেই লাভের টাকা থেকে সমন্বয় করলে কি হতো? দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে এমনিতেই জনগণ দিশেহারা। এখন জ্বালানি তেলের দাম আবারও বাড়ানো হলে জনজীবনে এর ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ অবস্থায় তেলের দাম বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। এখন আবার নতুন বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে লোডশেডিং। উচ্চ দামে না হয় গ্যাস কিনতে পারছে না। কিন্তু এতদিনের আয় দিয়ে তো তেলেই বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারে।

ঢাকা বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের চাহিদা ১৬শ’ থেকে সাড়ে ১৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত। কিন্তু এখন আমরা ১২শ’র মতো পাচ্ছি। পিক আওয়ারে এই সঙ্কট আরেকটু বেশি হচ্ছে। প্রায় ৪শ’ থেকে দুই-আড়াইশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সঙ্কট হচ্ছে। কবে নাগাদ এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমন কোন খবর আপনাদের কাছে আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে তো বলা হচ্ছে গ্যাসের সঙ্কটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ॥ গ্যাস-বিদ্যুত ব্যবহারে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। বিদ্যুত ও জ্বালানির বর্তমান অবস্থা ব্যাখ্যা করে তিনি মঙ্গলবার রাতে এক বার্তায় বলেন, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রভাব সব জায়গাতে পড়েছে। কোভিড-১৯ এর ধাক্কা যখন সবাই কাটিয়ে উঠছিল তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি সারা বিশ্বকেই গভীর এক সঙ্কটে ফেলেছে। এই সঙ্কট শুধু উন্নয়নশীল দেশেই না অনেক উন্নত দেশেও এর আঁচ লেগেছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক খাদ্য পণ্যের বাজারও বেসামাল। বৈশ্বিক এই সঙ্কট আমাদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছে।
আপনারা জানেন যে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ৫২ বিলিয়ন ডলারের রফতানির অনন্য মাইলফলক অর্জন করেছে।

অর্থাৎ গত একযুগে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুত সরবরাহের কারণে আমাদের শিল্পায়ন অতীতের সকল সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের ইশতেহারে’ উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেবেন। সেই রূপকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস বিদ্যুতের কোন বিকল্প নাই। আমরা সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যুদ্ধের কারণে হঠাৎ করেই কিছুটা ছন্দ পতন ঘটেছে সব জায়গাতেই।

138 ভিউ

Posted ৩:২০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com