বিশেষ প্রতিবেদক :: টেকনাফ থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে রোববার সকাল ১০টায় কক্সবাজারের দিকে আসছিল একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম)। ইজিবাইকটির পেছনে যাত্রী সিটের পাশে সুকৌশলে লুকানো ছিল ইয়াবা বড়ির চেয়েও ভয়ংকর মাদক ‘ক্রিস্টাল মেথ’ (আইস)।
ইজিবাইকটি প্রথমে টেকনাফ বিজিবি ও পুলিশের তল্লাশিচৌকি পার হয়। পরে এটি রামু বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর আরও কয়েকটি তল্লাশিচৌকি পার হয়ে বেলা দেড়টার দিকে এসে পৌঁছায় কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি নিয়ন্ত্রণাধীন রেজুখাল যৌথ তল্লাশিচৌকিতে। এখানে ইজিবাইকে প্রশিক্ষিত কুকুর (ডগ স্কোয়াড) দিয়ে তল্লাশি চালান বিজিবি সদস্যরা।
একপর্যায়ে কুকুর দেখিয়ে দিল ইজিবাইকের পেছনে যাত্রী সিটের পাশে সুকৌশলে লুকানো আইস। মেরিন ড্রাইভ সড়কে একাধিক বাহিনীর সাত-আটটি তল্লাশিচৌকি থাকলেও আইসগুলো ধরা পড়ল অবুঝ প্রাণী কুকুরের হাতেই। ঘটনাটা গতকাল রোববার দুপুরে হলেও সাংবাদিকদের জানানো হয় রাতে। বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, আসল আইস কি না, পরীক্ষা করতে সময় লেগেছে।
কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, ইজিবাইক থেকে উদ্ধার (টেপ মোড়ানো) ৯৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। এ সময় ইজিবাইকের চালক টেকনাফ পৌরসভার পুরান পল্লানপাড়ার মো. সালামকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে উদ্ধার বস্তু উন্নতমানের আইস।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, এর আগেও ৩৪ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আরও ৩৭৫ গ্রাম আইস উদ্ধার করেছিলেন। ইয়াবার পথ ধরে ভয়ংকর মাদক আইসও আনা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় শুধু ৩৪ বিজিবির টহল দল ১০৬ কোটি টাকা দামের ৩৫ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৭ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে। এ সময় (ইয়াবা ও আইস পাচারকালে) ১৬৪ জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। কিন্তু তারপরও মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
Posted ১১:৫৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta