সরওয়ার কামাল মহেশখালী :: কক্সবাজারের মহেশখালীতে পাহাড় ধ্বসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে পানিবন্দি ৪শতাধিক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
২৮ই জুলাই বুধবার সকালে হোয়ানক ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজুয়ার ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধ্বসে নামাজ পড়া রত অবস্থায় আলী মিয়া নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নেে উত্তর সিপাহীর পাড়া এলাকায় গত ২৭ই জুুলাই ভোর রাতে পাহাড় ধ্বসে বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে দেয়াল চাপা পড়ে আনছারুুল করিমের মেয়ে মোরশেদা বেগম(১৮) এর মৃত্যু হয়েছে।
রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ। গত সোমবার দিবাগত রাত থেকে ২৮ই জুলাই বিকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক, কালারমারছড়া শাপলাপুর ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করছেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হোয়ানক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মোহরা কাটা, কালালিয়া কাটা ২টি গ্রামে।
দুটি গ্রামেই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েকটি মাছের প্রজেক্ট বিলীন হয়ে গেছে। ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নুরুল কবির নিজস্ব তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
বিতরণ কালে তিনি বলেন,করোনাকালীন সময়ে আমি গরীব, অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছিলাম, আজকে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে আমার নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। আমি তাদের পাশে আছি, ভবিষৎতে থাকবো। প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ব্যাপক পাহাড়ি ঢলে হোয়ানক ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী ছারার বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর ও তলিয়ে গেছে।
রাস্তাঘাট ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, মুষলধারে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হোয়ানক ও কালারমার ছড়া ইউনিয়নে বেশকিছু বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গেছে। মাননীয় সাংসদ সহ আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে পরিদর্শন করেছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের কে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থদের কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হবে।
Posted ৮:৫৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta