কক্সবাংলা রিপোর্ট :: কক্সবাজার জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত টেকনাফের শীলখালীতে ২৫ একর জমিতে দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত হচ্ছে বিদেশে রপ্তানীযোগ্য হাইপার ইনসেনটিভ চিংড়ি,কোরাল,সী উডস,গ্রীণ মাসেল,সী কোকোসবার,হর্স সো ক্রাব এবং স্পাই রোনিলা হ্যাচারীসহ অসংখ্য প্রকল্প।আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশ আয় করবে হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা।যা কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের বুলু ইকোনোমিকে করবে সমৃদ্ধ।
আর এ অসাধারণ প্রকল্পটি নির্মাাণ করছে একোয়া ফার্ম শ্রীম্প লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি।কিন্তু স্থানীয় স্বার্থান্বেসি মহলের কারণে গত ২২ এপ্রিল এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজে বাধা,ভাংচুর ও চাদাদাবি করায় প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয়েছে। নিরুপায় হয়ে গত ২৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ১২জনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
১৫মে রবিবার দূপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান কোম্পানিটির এজিএম তসলিম মাহমুদ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর শীলখালি এলাকায় প্রায় ২৫ একর জমি ক্রয় করে একটি মৎস্য প্রকল্প স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ইতিমধ্যে উক্ত প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
এরই অংশ হিসাবে স্থানীয়দের সাথে চুক্তি করে আসন্ন বর্ষার পানি নিয়ন্ত্রনের লক্ষে ছোট একটি বাধ নির্মাণ শুরু করে।
কিন্তু,গত ২২ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় রফিকুল আলম, সামশুল আলম, আবুল কালাম, আবুল হাসেম, সৈয়দ কাদের, মোঃ হোসেন, আমান উল্লাহ, এবাদুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, সৈয়দু রহমান, আজিজ উল্লাহ, বেলাল সহ ১০ থেকে ১২ জন লোকজনের একটি চক্র প্রকল্পকাজে বাধা দেয় ভাঙ্গচুর করে এবং চাঁদা দাবি করে।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ধোধন করেন এবং রফিক সামসুকে ফোন করে নিষেধ করেন।এরপরও ওইদিন রাতে রফিক,সামসু, আবুল কালাম,আবুল হাসেম,সৈয়দ কাদেরের নেতৃত্বে হামলা চালায়।এসময় প্রকল্প নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ভেকু মেশিন ভাঙ্গচুর করে,নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করে এবং কোম্পানির স্থাপনার উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়।কিন্তু ঘটনার পরের দিন তারা আবার সকালে এসে আমাদের নিরাপত্তা কর্মীদেরকে বলে যদি কোন প্রকার কাজ করা হয় প্রয়োজনে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রতিষ্ঠানের বিপুল বিনিয়োগের স্বার্থে প্রশাসনসহ সকলের কাছে টেকনাফে নির্মিতব্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন।
এসময় একোয়া ফার্ম শ্রীম্প লিমিটেড কোম্পানির প্রকৌশলী নাজমুল হক ও সিকিউরিটি সুপারভাইজার সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১০:১৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৫ মে ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta