হেলাল উদ্দিন টেকনাফ(৭ জুলাই) :: কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় একাধিক মামলার দুইজন পলাতক আসামি ও ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
নিহত দুজন হলেন- উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের মৃত সুলতান আহমদ ওরফে চায় বাদশার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২) ও হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়াপাড়ার মৃত অলি আহাম্মদের ছেলে আব্দুল জলিল (৩২)।
পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত দুজন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পলাতক আসামী। সাদ্দামের নামে ইয়াবাসহ ১৭টি মামলা ও জলিলের নামে ১৩টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০হাজার ইয়াবা বড়ি, দুইটি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৩ রাউন্ড কার্তুজ ও নগদ ১ লাখ ৫০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান, কনষ্টেবল অভিজিৎ দাস ও মো এমরান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার রাত ১টার দিয়ে টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বোনিয়াপাড়ার বড়ছড়া মোহাম্মদ হাসান মেম্বারের বাড়ীর অনুমান ৩০০ গজ উত্তরে খালেরপাড়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
তিনি বলেন, সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে হোয়াইকং পুলিশ ফাড়ীর একটি বিশেষ দল মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ ১৭টি মামলার পলাতক আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদে সাদ্দাম তার সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নাম-ঠিকানা স্বীকার করেন।
এক পর্যায়ে তার হেফাজতে থাকা ইয়াবা, অস্ত্রগুলোর কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে আমি (প্রদীপ কুমার দাশের)নেতৃত্বে রাত ১টার দিয়ে টেকনাফ উপজেলা হোয়াইকং ইউনিয়নের কম্বোনিয়া বড়ছড়া মোহাম্মদ হাসান মেম্বারের বাড়ীর অনুমান ৩০০ গজ উত্তরে খালের পাড়ে পৌছালে সাদ্দামের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়।
তাৎক্ষনিক জীবন রক্ষার্থে পুলিশ ও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় পালাতে গিয়ে সাদ্দামসহ আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয় এবং আরো কয়েকজন পালিয়ে যান।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হইলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা দুইজনসহ ১০হাজার ইয়াবা বড়ি, দুইটি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৩ রাউন্ড কার্তুজ ও নগদ ১ লাখ ৫০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পরবর্তীতে গুরুতর আহত সাদ্দাম, জলিল ও পুলিশের তিনসদস্যদের দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র বলেন, রাতে পুলিশ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে সাধারণ পোশাকে থাকা দুজনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরে তিনটি করে গুলি লেগেছে।
অপর তিনজন পুলিশ সদস্যের শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ অপর দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ভোররাতে দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুইটি মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Posted ৫:২৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ জুলাই ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta