হুমায়ুন রশিদ,টেকনাফ(২০ অক্টোবর) :: কক্সবাজারের টেকনাফে চলমান মাদক উদ্ধার অভিযানে পুলিশ-বিজিবির সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক কারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিহত হয়েছে। এতে পুলিশ-বিজিবির ৫জন সদস্য আহত হয়েছে।
সুত্র জানায়, ২০ অক্টোবর (রবিবার) রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আটক একাধিক মামলার আসামী ও মাদক কারবারী সদর ইউপির ডেইল পাড়ার ছালেহ আহমদের পুত্র মোঃ আজিজ (২৪) স্বীকারোক্তিতে মহেশখলিয়াপাড়া নৌকাঘাটে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে গোলাগুলির ঘটনায় এসআই কামরুজ্জামান (৫০), এএসআই মিশকাত (৩৩) ও কনস্টেবল রোমন দাশ(৩০)গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল হতে ১টি এলজি, ৭ রাউন্ড কার্তুজ ৩ হাজার ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ এক ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
উক্ত হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাদক কারবারী আজিজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ২০ অক্টোবর রাতের প্রথম প্রহরের দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাং ক্যাম্পের একটি টহল দল মদিনার জোরা নামক খালে অবস্থান নেয়। সেখানে এক ব্যক্তি ঘোরা-ফেরা করতে দেখার কিছুক্ষণ পর ১টি নৌকা আসলে ঐ ব্যক্তি এগিয়ে যায়।
বিজিবি জওয়ানেরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় থাকা দূর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। তখন বিজিবিও প্রাণ এবং সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৬০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২টি ধারালো কিরিচসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাঁদার মধ্যে পরিত্যক্ত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তখন আহত ব্যক্তি মধ্যম কাঞ্জর পাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ রহিম উদ্দিন (৩৭) ওরফে রফিক বলে পরিচয় দেয়।
সেখানে আহত দুই বিজিবি সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ রহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এবং থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ৪ মে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে কক্সবাজার জেলায় ৩ নারীসহ ১৮২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২ নারীসহ ৪৭ জন রোহিঙ্গাও রয়েছেন।
Posted ৫:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta