হুমায়ুন রশিদ,টেকনাফ(১৮ অক্টোবর) :: কক্সবাজারের টেকনাফের লম্বাবিল পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান নিয়ে ফিরে আসার পথে সীমান্ত রক্ষী বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুই মাদক কারবারী রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা গেছে।
এতে ৩জন বিজিবি জওয়ান আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র, বুলেট ও ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি সুত্র জানায়, ১৮অক্টোবর (শুক্রবার) রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের হোয়াইক্যং বিওপি বিজিবি জওয়ানদের বিশেষ একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লম্বাবিল এলাকায় নাফনদী পয়েন্টে অবস্থান করে।
কিছুক্ষণ পর ৪/৫জন লোক বোঝাই একটি কাঠের নৌকা কিনারায় এসে ২জন লোককে নামিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তাদের ধরার চেষ্টা করলে মাদক বহনকারী দূবৃর্ত্তরা বিজিবি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে ল্যান্সনায়েক জহিরুল, সিপাহী সৈয়দ মাহমুদ ও মোঃ ইয়াকুব আহত হয়।
এরপর বিজিবি জওয়ানেরা আতœরক্ষার্থে পাল্টাগুলিবর্ষণ করলে নৌকায় থাকা মাদক কারবারীরা পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৫০হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ২টি ধারালো কিরিচসহ গুলিবিদ্ধ ২জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সেখানে আহত বিজিবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারী সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে।
মৃতদেহের সাথে থাকা পরিচয়পত্রের সুত্রধরে নিহতরা কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক-এ/৩ এর সোলতান আহমদের পুত্র মোঃ আবুল হাসিম (২৫) এবং ব্লক-সি/১ এর আবু ছিদ্দিকের পুত্র নুর কামাল (১৯) বলে সনাক্ত করে।
মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এই মাদক বিরোধী অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Posted ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta