হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ :: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ১২ ঘন্টার ব্যবধানে আবারও পাহাড় ধসের ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত পাঁচজন হলেন- আব্দুস শুক্কুর (১৬), মোহাম্মদ জুবায়ের (১২), আব্দুল লতিফ (১০), কহিনুর আক্তার (১৪) ও জয়নাব আক্তার (৮) । তারা সকলেই টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী বিলিজার পাড়া ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে-মেয়ে।
এ ঘটনায় বাবা-মা ও এক শিশুসহ আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা হলেন-মৃত লাল মিয়ার ছেলে সৈয়দ আলম (৫০), তার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪৫), তার বড় মেয়ে শাবনুর (১৮) ও শিশু সন্তান মরিয়ম বেগম (৬ মাস)।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর ভিলেজারপাড়ায় পাহাড় ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর ভিলেজারপাড়ায় পাহাড়ের একটি অংশ বিশেষ ওই এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ঘরটিতে মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। এ সময় আহত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী, বড় মেয়ে ও এক শিশু সন্তানসহ চারজনকে উদ্ধার করা হয় । এতে করে পাঁচ সন্তান মাটির নিচে চাপা পড়ে। সেখান থেকে প্রথমে দুইজন ও পরে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, টানা ভারী বর্ষণে হ্নীলা ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে শত শত ঘর-বাড়ি। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টিপাতে পানখালি ভিলেজ পাড়ায় স্থানীয় সৈয়দ আলমের বাড়িতে পাহাড় ধসের একই পরিবারের পাঁচজন মাটি চাপা পড়ে। পরে স্থানীয়রা মাটি খুড়ে তাদেরকে উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই শিশু। এছাড়া আর কেউ মাটি চাপা পড়ে আছে কিনা তা দেখতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, একই পরিবারের ৫জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে মা-বাবার সহ আরও দুই সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, টানা ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সোমবার বিকেল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছিল। টেকনাফ পৌরসভা একটি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪ শতাধিক নারী-পুরুষ শিশু পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাদদেশ থেকে নেমে এসেছেন। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নিহতদের দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এরআগে, মঙ্গলবার দুপুরে ভারী বর্ষণে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন মনির গ্রামে পাহাড় ধসে রকিম আলী(৬৫)নামে এক ব্যক্তি’র মৃত্যু হয়। সে মনিরঘোনা গ্রামের মৃত আলী আহমদের পুত্র। এনিয়ে টেকনাফ উপজেলায় ১২ ঘন্টার ব্যবধানে পাহাড় ধসে ৬জনের মৃত্যূ হলো।
Posted ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta