কক্সবাংলা ডটকম(৩০ মার্চ) :: প্রস্তাবিত বাস সার্ভিসের পরীক্ষামূলক যাত্রা সফল হলে বাংলাদেশী যাত্রীরা শিগগিরই সড়ক পথে নেপাল ভ্রমণে যেতে পারবেন। এতে তাদের বিমান যাত্রার ধকল ও ব্যয় অনেক কমে যাবে।
বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) মটরযান চলাচল চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে তা দুই সদস্য দেশের ভ্রমণকারিদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বাংলাবান্ধা ও ফুলবারি হয়ে ভারত ও নেপালের পানির টাংকি ও কাকরভিটা সীমান্ত দিয়ে ঢাকা ও কাঠমান্ডুর মধ্যে যাত্রীবাহী ও বাণিজ্যিক যানবাহন চলাচল করবে।
এই পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে একজন ট্যুর অপারেটর বলেন যে এই বিকল্পটি যাত্রীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হবে। তিনি বলেন, বিমান ভ্রমণ শুধু ব্যয়বহুলই নয়, ঝুঁকিপূর্ণও বটে। সুবিধা ও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে স্থলপথে ভ্রমণ বিমানযাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে।
সম্প্রতি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার বিষয়টি তুলে ধরে ওই অপারেটর বলেন, কাঠমান্ডু হলো এশিয়ার দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর। সেখানে অবতরণকালে দুর্ঘনার শিকার হয়ে ইউএস-বাংলা বিমানের অর্ধশত যাত্রী প্রাণ হারায়।
ঢাকা-কাঠমান্ডু বাস চলাচল প্রকল্পটি উদ্বোধনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল সরকার পরীক্ষামূলক যাত্রাটি পর্যবেক্ষণ করবে। গত মঙ্গলবার তিন দেশের মধ্যে এক ভিডিও কনফারেন্সের পর পরীক্ষামূলক যাত্রার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশের সড়ক ও জনপদ বিভাগের যুগ্ম সচিব চন্দন কুমার দে বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ২৭ এপ্রিল একটি বাস ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাত্রা করবে। বাসে সড়ক পরিবহন বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ববোর্ড ও অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা থাকবেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত সকল রুটে পরীক্ষামূলক যাত্রা গত বছর সম্পন্ন হয়েছে। তখন রাজনৈতিক অশান্তির কারণে নেপাল ওই পরীক্ষামূলক যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
২০১৫ সালের ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্ফুতে চার দেশের পরিবহন মন্ত্রীরা বিবিআইএন চুক্তিতে সই করেন। তবে ভুটানের পার্লামেন্ট এই চু্ক্তি অনুমোদন না করায় তা পুরোপুরি কার্যকর হতে বিলম্ব ঘটছে।
অভ্যন্তরীণ সমস্যা কেটে গেলে ভুটান এই চুক্তিতে যোগ দেবে বলে জানিয়েছে।
Posted ২:৩১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta