কক্সবাংলা রিপোর্ট(২০ ফেব্রুয়ারী) :: কক্সবাজার-নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া ৬ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা।
সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু জিরো লাইন এলাকায় শুরু হয় এই বৈঠক।
১২ সদস্যের বাংলাদেশ দলের মধ্যে ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম উপস্থিত রয়েছেন।
অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ত্রাণ শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো.আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন,বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বনিকসহ বিজিবি ও পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
বৈঠকের আগে আবুল কালাম জানান, বৈঠক শেষে বিকাল ৩টায় ফিরে আসার কথা রয়েছে দলটির। এসব রোহিঙ্গারা জিরো লাইনে অবস্থান করছে এবং বাংলাদেশ বলছে তারা মিয়ানমারের অংশে রয়েছে।
ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের তাদের নিজভূমি রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ১ হাজার ৬৭৩ জনের একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের তরফ থেকে এই তালিকা আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, মিয়ানমার ওই তালিকা যাচাই বাছাই করে খুব দ্রুতই আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবে।তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে হামলা শুরু করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এই হামলার ভয়াবহতাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের তাণ্ডবে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এই হামলায় তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এছাড়া, এখন পর্যন্ত দুটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
Posted ২:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta