কক্সবাংলা ডটকম :: চিনকে চাপে রাখার কৌশল নিল ভারত। দক্ষিণ চিন সাগরে রণতরী মোতায়েন ভারতের। এরপর অন্যান্য দেশের সঙ্গে মহড়াতেও অংশ নেবে ভারতীয় নৌবাহিনী।
ভারতের (India) সঙ্গে গত বছর থেকেই সীমান্ত-সংঘাতে জড়িয়েছে চিন (China)। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতও। সেই জবাবের অংশ হিসেবেই এবার জলপথে বেজিংকে চাপে রাখার কৌশল নিল নয়াদিল্লি।
দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পাঠানো হল ভারতীয় নৌসেনার ইস্টার্ন ফ্লিটের টাস্ক ফোর্সকে। চলতি অগস্ট থেকে ওখানে মোতায়েন থাকবে ভারতের একাধিক যুদ্ধজাহাজ।
উল্লেখ্য, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন রয়েছে লাল চিনের। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে তারা। এবার চিনকে চাপে রাখতে পদক্ষেপ ভারতেরও।
চিনের নাকের ডগায় এবার অন্য দেশের সঙ্গে মহড়াতেও অংশ নেবে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)। ভারতীয় নৌবাহিনী এখানে অংশ নেবে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার নৌসেনার সঙ্গে যৌথ মহড়ায়। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যৌথ মহড়াতেও অংশ নেওয়ার কথা ভারতের।
ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, Act East Policy মেনে একাধিক যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করছে ভারত। আগামী দুমাস ওই অঞ্চলে টহল দেবে এই যুদ্ধজাহাজ।
সেনা অবস্থান সরানো নিয়ে ইতিবাচক বোঝাপড়া হয়েছে ভারত-চিনের। এর পরই গালওয়ান সংঘর্ষের ভিডিয়ো প্রকাশ চিনের।
কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে লাদাখের গোগরা থেকে সেনা পিছনোর বিষয়ে একমত হল ভারত ও চিন। এর পরই গত বছরের গালওয়ানের সংঘর্ষের ঘটনার একটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
ভিডিয়ো ফুটেজটি প্রকাশ করে বেজিংয়ের দাবি, সেদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় চার চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল। যদিও এই দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দিহান থেকেছে ভারতীয় সেনা। প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, চিনারা উঁচু থেকে ভারতীয় সেনাদের দিকে পাথর ছুড়ছে। গালওয়ান নদীতে (Galwan river) দু’পক্ষের সেনাসংঘর্ষ চলছে। খরস্রোতে ভেসে যেতেও দেখা যাচ্ছে কয়েকজন চিনা সেনাকে।
নয়াদিল্লির তরফে ঘটনার পরেই জানানো হয়েছিল, গলওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্টে সংঘর্ষে বিহার রেজিমেন্টের এক কর্নেল এবং ১৯ জন জওয়ান নিহত হন। চিনের তরফে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টে অন্তত ৩০ জন চিনা সেনার মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু এত দিন চিনের তরফে নিহত সেনার সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
গত শনিবার লাদাখের (Ladakh) চুসুলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া অঞ্চলে কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হল। সেখানেই মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো (disengagement) ও সেনা সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
পরবর্তী পর্যায়ে দেপসাং এলাকা থেকে সেনা পিছনোর বিষয়ে কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।
Posted ৮:৩৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta